April 24, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, April 23rd, 2025, 2:04 pm

সুস্থ অবস্থার কাজা নামাজ অসুস্থ অবস্থায় পড়া যাবে?

প্রতীকী ছবি

ধর্ম ডেস্ক

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দিলে মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে নেন।

মুআজ (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) আমাকে দশটি নসিহত করেন, তার মধ্যে বিশেষ একটি হলো, তুমি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ কোরো না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করল, তার ওপর আল্লাহর কোনো জিম্মাদারি থাকল না।’ (আহমাদ, হাদিস : ২৩৮)

তবে নিতান্ত ভুলবশত, অপারগ হয়ে কিংবা বিশেষ কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে— পরবর্তী সময়ে এই নামাজ আদায় করে নিতে হয়। আর এই নামাজ আদায়কে কাজা নামাজ বলা হয়।

ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে, সে নামাজের কাজা আদায় করা আবশ্যক। সুন্নত কিংবা নফল নামাজ আদায় করা না গেলে, সেটার কাজা আদায় করতে হয় না।

কাজা নামাজ যত দ্রুত সম্ভব আদায় করতে হবে। কারণ, কখন মৃত্যু এসে যায় তা কারো জানা নেই। মৃত্যুর সময় কারো জিম্মায় কাজা নামাজ থেকে গেলে পরকালে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
কোরআনে কারিমের এসেছে, কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে— ‘কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে, আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদের খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। এমনকি আমরা প্রতিদান দিবসকে (কেয়ামত) অস্বীকার করতাম। আর এভাবেই হঠাৎ আমাদের মৃত্যু এসে গেল। (সূরা মুদ্দাসসির, আয়াত : ৩৮-৪৭)

কারো যদি সুস্থ অবস্থায় নামাজ কাজা হয় এবং তিনি তাৎক্ষণিক সেই কাজা আদায় করেননি। পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে গেছেন এবং শারীরিকভাবে এতোটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন যে, বর্তমানে বসে রুকু সিজদার মাধ্যমে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে তাকে।

এমন ব্যক্তি যদি সুস্থ থাকা অবস্থার কাজা নামাজ অসুস্থ অবস্থায় আদায় করতে চান তাহলে তা কীভাবে আদায় করবেন? বসে আদায় করতে পারবেন নাকি অসুস্থ হলেও সুস্থ অবস্থার কাজা নামাজ সুস্থ ব্যক্তির মতোই পড়তে হবে?

এ বিষয়ে ফেকাহবিদ আলেমরা বলেন, সুস্থ অবস্থায় কাজা হওয়া নামাজ অসুস্থ অবস্থায় আদায় করতে চাইলে তা বসে বসে আদায় করলেও আদায় হয়ে যাবে। এ নিয়ে সংশয়ের প্রয়োজন নেই। কারণ, কাজা নামাজ যখন পড়া হবে তখনকার সামর্থ্য অনুযায়ী পড়লেই আদায় হয়ে যায়।