April 26, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, April 26th, 2025, 12:13 am

আকাশ বন্ধ করেছে পাকিস্তান, প্রতিদিন মিলিয়ন ডলার ক্ষতি ভারতের: রিপোর্ট

 

কাশ্মীরে প্রাণঘাতী হামলার পর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এক মাসের জন্য আকাশসীমা বন্ধের এই ঘোষণা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।

পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির জারি করা একটি নোটিশ অনুসারে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশটির আকাশসীমা ভারতীয়-নিবন্ধিত বেসামরিক এবং সামরিক বিমানের জন্য খোলা থাকবে না। ভারতীয় সংস্থাগুলোর ভাড়া নেওয়া বিমানগুলোও পাকিস্তানের আকাশসীমায় যেতে পারবে না।

এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানি আকাশসীমা বন্ধের ফলে ভারতীয় বিমানগুলোকে অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা পথ ঘুরে চলতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিদিন ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বেশি খরচ করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন ১০০টিরও বেশি ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে। এর মধ্যে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, আদিত্য জেট, ইন্ডিগো এয়ার এবং আকাসা এয়ার। এর আগে কয়েক দিনের জন্য আকাশসীমা বন্ধ থাকার কারণে ভারতীয় সংস্থাগুলো ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। এটি যাত্রীদের ভ্রমণ ব্যয়ও বাড়ি দেয়।

পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করে উচ্চ জ্বালানি খরচ এবং দীর্ঘ ভ্রমণের সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে নয়াদিল্লি বিমানবন্দর, যা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম বিমানবন্দর। সেখান থেকে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বিমানগুলো পাকিস্তানের আকাশসীমা অতিক্রম করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভারতীয় বিমান পরিবহন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি থেকে মধ্যপ্রাচ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে প্রায় এক ঘণ্টা বেশি সময় লাগবে। এর অর্থ হলো, জ্বালানি বেশি এবং পণ্যসম্ভার কম।

ফ্লাইটঅ্যাওয়্যারের তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট নয়াদিল্লি থেকে বাকু যেতে ৫ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট সময় নেয়। এটিকে দক্ষিণ-পশ্চিমের গুজরাট রাজ্যে এবং তারপর আরব সাগরের ওপর দিয়ে যেতে হয়েছিল, তারপর ইরানের ওপর দিয়ে উত্তরে আজারবাইজানে ফিরে যেতে হয়।