এস এ শফি, সিলেট: প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দেড় বছর ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও এখনো মেলেনি সরকারি অনুমোদন। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের শেষদিকে নির্মাণকাজ শেষ করে ভবনগুলো স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে বুঝিয়ে দেয় মেসার্স পোদ্দার এন্টারপ্রাইজ ও রুপালী কন্সট্রাকশন। কিন্তু ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের আবেদন পাঠানো হলেও তা এখনো অর্থ মন্ত্রণালয়ে ঝুলে আছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে ১০টি বহুতল ভবন, যার মধ্যে হাসপাতাল ভবন, ডাক্তার ও নার্সদের ডরমিটরি অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু জনবল সংকট ও প্রশাসনিক জটিলতায় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা কার্যক্রম চালু হয়নি। বর্তমানে শুধুমাত্র আউটডোর সেবা চালু রয়েছে, তাও সীমিত আকারে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রয়োজন ৯ জন চিকিৎসক, কিন্তু কর্মরত আছেন মাত্র ৩ জন। তার মধ্যে ২ জন আবার মূলত সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। নার্স, মিডওয়াইফ, ওয়ার্ডবয়, আয়া, নাইট গার্ডসহ চতুর্থ শ্রেণির কোনো জনবল নেই বললেই চলে।
স্থানীয়রা বলছেন, নিজ এলাকায় আধুনিক হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও শুধু অনুমোদন ও জনবল না থাকায় তাদের চিকিৎসার জন্য সিলেট শহরে ছুটতে হচ্ছে—যার দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার।
ওসমানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মইনুল আহসান বলেন,“প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবল না থাকায় পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন।”
তাই দ্রুত অনুমোদন সাপেক্ষে জনবল নিয়োগ করে হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু করাসহ এলাকাবাসীর স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের দাবী জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।
আরও পড়ুন
মোংলা বন্দরে জাহাজ থেকে চুরি করা মালামালসহ তিনজন আটক
এই অ্যাওয়ার্ড শুধু স্বীকৃতি নয়, সকলের জন্য অনুপ্রেরণা : উপাচার্য
কালীগঞ্জে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল