সৌদি আরবে আটকে পড়া ইরানি হাজিদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমন নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যতদিন পর্যন্ত ইরানি হাজিরা নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারছেন, ততদিন এ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছেন সৌদি বাদশাহ।
সৌদিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইরানে ইসরায়েলের হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি ও আকাশপথ বন্ধ থাকার বিষয়টি জানতে পেরেছেন বাদশাহ। তাই তিনি আটকে পড়া হাজিদের ব্যাপারে শুক্রবার (১৩ জুন) গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সৌদি প্রেস এজেন্সির মতে, ইরানি হাজিদের সহায়তার পরিকল্পনা বাদশাহ সালমানের সামনে উপস্থাপন করেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এরপর বাদশাহ নির্দেশ দেন, হাজিদের জন্য যা যা প্রয়োজন তা যেন সরবরাহ করা হয়।
এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে। মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করবে, এসব হাজি যেন নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্য এবং সম্মানের সঙ্গে সৌদিতে অবস্থান করতে পারেন। যতদিন ইরানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং তারা দেশে ফিরে যেতে পারেন ততদিন হাজিরা সৌদিতে থাকতে পারবেন।
প্রতি বছর হজে অংশ নিতে হাজার হাজার ইরানি সৌদি আরবে আসেন। এ বছরও ১৬ লাখেরও বেশি মুসল্লি হজে অংশ নেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছিলেন ইরানি। চলতি বছরের হজ আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার (১০ জুন) শেষ হয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়, যার জবাবে তেহরান আকাশপথ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে বহু ইরানি হাজি হজ শেষ করেও দেশে ফিরতে পারছেন না।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ইরানের সমর্থন বাড়ছে। সৌদি আরব, তুরস্কসহ মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি এবার ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণকে ‘নব্য-নাৎসি ইহুদিবাদ’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন।
আরও পড়ুন
সেনা ক্যাম্প ছেড়ে ভাড়া বাসায় নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী!
তালেবান সরকারের আমন্ত্রণে মামুনুল হকসহ ৭ আলেম আফগানিস্তানে
গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে পিআর কার্যকরী নয়: ডা. জাহিদ