যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী ‘সতর্কতা’ জারি করেছে। বিশ্বের যেকোনও জায়গায় অবস্থানরত আমেরিকানদের ‘বাড়তি সতর্ক’ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিদেশে মার্কিন নাগরিক ও স্বার্থের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সম্ভাবনা রয়েছে।’ মার্কিন ও ব্রিটিশ একাদিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র দফতরের নিরাপত্তা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ ব্যাহত হচ্ছে এবং অঞ্চলটির আকাশসীমা বন্ধ রাখা হচ্ছে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও স্বার্থবিরোধী বিক্ষোভের আশঙ্কা রয়েছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে দ্রুত বেড়ে চলা সংকট বিদেশে ভ্রমণরত বা অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা— ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে— বিমান হামলা চালায়। এই বোমাবর্ষণে ক্ষুব্ধ হয়ে ইরান হুঁশিয়ারি দেয়, এই হামলার ‘অপূরণীয় পরিণতি’ হবে।
রবিবার তেহরান সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে হামলার হুমকি দিয়ে জানায়, প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আক্রমণের মুখে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। শনিবার তারা ইসরায়েল এবং পশ্চিম তীরে আটকে পড়া মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।
একইসঙ্গে ইরাক ও লেবাননে অবস্থানরত মার্কিন কূটনীতিকদের দ্রুত দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র দফতর পরামর্শ দিয়েছে, মার্কিন নাগরিকেরা যেন ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের তথ্য ও সাম্প্রতিক নিরাপত্তা সতর্কতাগুলো মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখে নেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এরই মধ্যে নিজ দেশেও ‘উচ্চমাত্রার হুমকি পরিস্থিতি’ সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, ইরানে মার্কিন হামলার পর থেকে নিম্ন মাত্রার সাইবার হামলা ও একক হামলাকারীর আক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন
সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে মর্টার হামলা
কাতার, আরব আমিরাত, কুয়েত ও বাহরাইন আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ
যে ১১ কারণে নূরুল হুদাকে রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ