খুলনা ব্যুরো:
মেট্রোপলিটন কলেজ খুলনা, সোনাডাঙ্গা খুলনা এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালীর নিকট ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও জীবন নাশের হুমকি দিয়েছে সুরঞ্জন বিশ্বাস ও হিরামন মণ্ডল।
হুমকিদাতা সুরঞ্জন বিশ্বাস ডুমুরিয়া থানার জিলের ডাঙ্গা গ্রামের মনোহর বিশ্বাসের ছেলে এবং হিরামন মণ্ডল একই গ্রামের জিতেন্দ্র মণ্ডলের ছেলে ।
জানা যায়, শিক্ষকদের ইন্দনে গত ২জুন সকাল ১০ টায় কলেজে ১৫-২০ জন উপস্থিত হয়ে নিচ তলায় ডিউটিরত সিকিউরিটি গার্ডের নিকট আমাকে খুজতে থাকে। সেখানে না পেয়ে তারা অফিস রুমে ঢুকে কম্পিউটার অপারেটর ও অন্যান্য স্টাফদের ভয় ভীতি দেখাতে থাকে । একই সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ করতে থাকে। এসময় তারা অধ্যক্ষের বোনের কাছে ৪০ লাখ টাকা তার ভাইকে দেয়া লাগবে বলে হুমকি দেয় । দুপুর ৩টিয় দিকে তারা পুনরায় তার ছোট বোনের কাছে সুরঞ্জন বিশ্বাস তার নম্বর দিয়ে কল করে অধ্যক্ষের জীবন নাশের হুমকি দেয়এবং তার ছোট বোনসহ তার পরিবারের কাউকে ছাড় হবেনা বলে হুমকি দেয়।
তাছাড়া রাতে হিরামন মণ্ডল বিভিন্ন নম্বর দিয়ে তার ছোট বোনের কাছে ফোন দিয়ে পুনরায় হুমকি দেয় এবং পরিবার সহ অধ্যক্ষকে হুমকি দেয়। অধ্যক্ষয়ের মেয়ের পরীক্ষা (এইস এস সি) দিতে আসলে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেয়। বিভিন্ন সময়ে মস্তাফিজুর রহমান হিরুসহ আমার নিকট হতে নগদে, মোবাইলে, বিকাশেসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে গ্রহণ করিয়াছে।
তাছাড়া দুপুর ১২ টার দিকে তারা বহু লোকজন নিয়ে কলেজের কয়েকজন শিক্ষকদের সঙ্গে সলাপরামর্শ করে চলে যায়। এছাড়াও পূর্বে তারা ২০২৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ২০-৩০ জন লোকজন নিয়ে কলেজে আক্রমন করে এবং কলেজের স্টাফ আকাশ দাস, মনিরুজ্জামান, সাহানুর হোসেনকে মারধর করে একই সাথে কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান হিরুকে তার মারধর করে। এরা সকলেই আওয়ামী লীগের দোসর এবং পূর্ব বাংলা কমোনিষ্ট পার্টি (সর্ব হারা) গ্রুপের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত। এদের বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজি, জমি দখল, হাইজ্যাকসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত রয়েছে।
তাছাড়া অধ্যক্ষয়ের গ্রামের বাড়ি পাইকগাছা থানার, কালীনগর হতে ১৯৯৩ সালে শ্রাবণ মাসের দিকে এক সন্ধ্যায় পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি ম্যানপরিমল গ্রুপের সর্বহারারা একই রাতে অধ্যক্ষয়ের বাড়ির দোনলা লাইসেন্সকৃত বন্দুক এবং পার্শ্ববর্তি পাড়ার অভিভিষন বিশ্বাসের এক নলা বিদেশি বন্দুক এক রাতে লুট হয়। ঐ সময় এরা সর্বহারা ও পারতির সহিত অতপ্রতভাবে জড়িত ছিল এবং ২০০১ সালে শেষের দিকে কালীনগর গ্রামের চিত্ত হালদার সর্বহারা কর্তৃক মার্ডার হয়। সে সময় এরাও সর্বহারার সহিত জড়িত ছিল। তাছাড়া ৫ আগস্টের ছাত্র জনতা অভ্যুথানে তারা আওয়ামী লীগের হয়ে দমন-পীড়নের লিপ্ত ছিল। তারা আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য। ৫ আগস্টের ২০২৪ এর পরে এরা গাঁ ঢাকা দিয়ে ছিল। এখন মাঝে মাঝে বের হয়ে পুনরায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে পুণরায় লিপ্ত হয়েছে। ২০২৪ সালের ২১ শে ফেব্রিয়ারি তাদের সঙ্গে অনেক সন্ত্রাসী যুক্ত ছিল বর্তমানে গত ২জুন পুণরায় কলেজে এসে উক্ত টাকা দাবি করে এবং দুপুর১টায় দিকে দলবল নিয়ে বের হয়ে যায়।
গত ২০২৪ সালের ২৬ জুন কলেজের কিছু ষড়যন্ত্র কারি শিক্ষক তাদের সাথে একত্রিত হয়ে তাদের সঙ্গে কলেজ বিরোধী কার্যকলাপ এর সহিত জড়িত। যেমন জাল সার্টিফিকেট অবৈধ নিয়োগসহ বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপ করে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করেছে। কলেজের অধ্যক্ষ উক্ত বিষয়গুলি সরকারের নিকট উপস্থাপন করার কারণে এবং সত্যতা প্রমানে চাকুরি জীবনে গ্রহণে সকল অর্থ ফেরত দেওয়ার আক্রোশে তারা এই সমস্ত সন্ত্রাসীদের কলেজে প্রশ্রয় দিয়ে তার পরিবারের উপরে হামলা মামলা হত্যা গুম করার মতন জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যানা যায় বিগত ২৬জুন কলেজ চলাকালীন সময় দুপুর ১২ টার দিকে উক্ত সন্ত্রাসীদের ডেকে কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মাহাবুবুর রহমান শামিম, শেখ মইন উদ্দিন, মো. তাইফুজ্জামান এবং মো. মইনুল ইসলাম তাইফুজ্জামানের রুমে বসে অধ্যক্ষকে গুম ও হত্যা করার মতন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা শ্রী শ্রী দেব মন্দিরে আরও সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা করে এবং অধ্যক্ষয়ের সোনাডাঙ্গার বাড়িতে হামলা করে। সেটা তাদের সি সি টিভি কযামেরার ফুটেজ ও রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি এবং হত্যার হুমকির অডিও কল রেকর্ডও তারা সংরক্ষিত করে রেখেছে।
[01:39, 7/2/2025] Ayesha Akter joty: নিভা বাওয়ালী কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষিকা।কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালীকে যে অবৈধ ভাবে সময়িক বরখাস্ত এবং সাময়িক বরখাস্তের চার মাস পূর্ব হতে অধ্যক্ষয়ের বেতন ভাতা সেপ্টেম্বর -২৪ মাস হতে তার সম্পূর্ণ বন্ধ করে রাখে। বিধি অনুযায়ী মহামান্য হাইকোর্ট এর রিট পিটিশন মামলা নং-৩৬৫৭/১৫ এর আদেশ ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ইংরেজি ৬/০৮/২০১৭ তারিখের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করলে ৬০ দিন বা দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে সেক্ষেত্রে কলেজের অবৈধ কমিটি ও অবৈধ ভারপ্রাপ্ত মো. তাইফুজ্জামান তাহা করতে পারে নাই সেক্ষেত্রে হাইকোর্ট এর আদেশ ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অধ্যক্ষ মহোদয় স্বপদে পূর্ণ বহাল হয়েছেন তাছাড়া বর্তমান সরকার এর প্রজ্ঞাপন মোতাবেক কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটিতে থাকলে বা কোন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সাময়িক বরখাস্ত বা বরখাস্তসহ তাদের বিরুদ্ধে কোন রুপ ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে না। তদুপরি অত্র কলেজের অবৈধ এডহক কমিটি ও অবৈধ ভারপ্রাপ্ত মব জাষ্টিজের মাধ্যমে এহেন জঘন্যতম কাজ করে যাচ্ছে। কলেজটি ধংস্বের দোর গোড়ায় পৌঁচেছে। ইতিমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২৫জুন কলেজের জাল সার্টিফিকেট ধারী শিক্ষকদের তদন্ত ও তথ্য প্রেরনের জন্য পত্রের মাধ্যমে নির্দেশ এসেছে। এছাড়াও কলেজের সরকারী প্রজেক্টর ল্যাপটপ ও অন্যান্য মালামাল গুরুত্ব পূর্ণ কাগজপত্র, কলেজের সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত সিম যাহা অধ্যক্ষ ব্যবহার করতেন উক্ত সিম মিথ্যা ইনফরমেশন গ্রামিন ফোনকে দিয়ে সিম তুলে কলেজের ইংরেজি শিক্ষক শামীম ব্যবহার করছে । কলেজের অনেক গোপনীয় পাসওয়ার্ড, অধ্যক্ষের গোপন তথ্য উপাত্ত চুরি করে কলেজের চরম ক্ষতি করেছে। এমনকি উপবৃত্তি, তফসিল বৃত্তি, বেনবেইজ, বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এর অনেক গোপনীয় পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য পাচারসহ সার্বিক ক্ষতি করছে। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ডিজিটাল মামলাসহ নারীও শিশু নির্যাতন এবং ফৌজদারি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
খুলনা বিএল কলেজে পরীক্ষার প্রশ্নে ‘ধানমন্ডি ৩২’ ও ‘শেখ মুজিব’, প্রতিবাদে ছাত্রদের মানববন্ধন
কালীগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে সেলাই মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ
উম্মুক্ত হলো পাইকগাছার নাছিরপুর খাল ; মাছ ধরার উৎসবে জনতার ঢল