পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা ১১টায় লালবাগ হোসাইনি দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে ডিএমপির নিরাপত্তা পরিকল্পনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে জেএমবির বোমা হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, অপরাধ অপরাধই। বোমা মেরে মানুষ মারবে এটা অপরাধ। অপরাধের বিচার প্রচলিত আইনে যেভাবে আছে, সেভাবে হবে। এটাকে কোনো লেবাস দিয়ে কালারিং করার কোনো প্রয়োজন নেই। সেটা যে আমলেই হোক। আমরা এটার বিষয়ে ওয়াকিবহাল আছি। আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে।
তাজিয়া মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি, ব্যাগ, সুটকেস বা সন্দেহজনক কোনো প্যাকেট নিয়ে অংশ নেওয়া যাবে না। এই মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা আতশবাজি বা পটকা ব্যবহার করতে পারবেন না।
একই সঙ্গে ইমামবাড়া ও মিছিল আয়োজনকারীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি থেকে বলা হয়েছে, আশুরার নানা অনুষ্ঠান ও তাজিয়া মিছিলে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করে যেন পুলিশি নিরাপত্তা জোরদারে সহযোগিতা করা হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিকল্প হিসেবে জেনারেটর রাখার পরামর্শও দিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. সরওয়ার বলেন, হোসেনি দালান ইমামবাড়া, বড়কাটারা, মোহাম্মদপুর বিহারি ক্যাম্প, শিয়া মসজিদ, বিবিকা রওজা, মিরপুর পল্লবী বিহারি ক্যাম্পসহ যেসব স্থানে পবিত্র আশুরা পালিত হয় সেসব স্থানে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন লালবাগ বিভাগের উপকমিশনারসহ শিয়া ধর্মালম্বী নেতা, ইমামবাড়া ও তাজিয়া মিছিল উদযাপনে সংশ্লিষ্ট নেতারা।
আরও পড়ুন
আওয়ামী লীগের এমপি শম্ভুর জমি ক্রোক, ১৬ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করবে অস্ট্রেলিয়া: আমীর খসরু
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ: ১০ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ