আগামী বছর ১ থেকে ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১২ জাতি নিয়ে এশিয়ার শীর্ষ টুর্নামেন্ট এশিয়ান কাপ। বাংলাদেশের নারী ফুটবল ইতিহাস করে ফেলেছে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। আর এতে অপার সম্ভাবনার দুয়ারে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল।
এশিয়ান কাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বের ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২৭ ফিফা নারী বিশ্বকাপ ও ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে নিতে পারবে বাংলাদেশের মেয়েরা। তাই বাফুফে আসন্ন এশিয়া কাপের পাশাপাশি বিশ্বকাপ-অলিম্পিকের সম্ভাবনাও পরিকল্পনায় রাখছে।
অস্ট্রেলিয়া, চীন, কোরিয়া, জাপান ও বাংলাদেশের সাথে আরো ৭ দল নিয়ে হবে এশিয়ান কাপ। ১২ দল খেলবে ৩ গ্রুপে ভাগ হয়ে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের সাথে তৃতীয় হওয়া সেরা দুই দল উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তারপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।

এশিয়া থেকে ৮ দেশের বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার সুযোগ আছে। এর মধ্যে এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে ওঠা চার দল সরাসরি চলে যাবে বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে হারা চার দলের মধ্যে হবে প্লে-অফ। প্লে-অফ খেলার মাধ্যমে যাবে দুই দল। প্লে-অফে পরাজিত দুই দল খেলবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে। সেই প্লে-অফে এশিয়ার দল জিতলে ৮টি দলের সুযোগ হবে বিশ্বকাপ খেলার। অর্থাৎ বাংলাদেশ যদি এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারে, তাহলে তিন-তিনটি সুযোগ থাকবে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার।
সুযোগ থাকবে ২০২৮ অলিম্পিক ফুটবলের বাছাইপর্ব খেলারও। সেই বাছাইপর্বে দুই গ্রুপে ভাগ খেলবে দলগুলো। দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের নারী ফুটবলে সুযোগ পাবে। ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল সুযোগ পাবে অলিম্পিক বাছাই খেলার। অলিম্পিক বাছাইপর্বে ৮ দল দুই গ্রুপে খেলবে। দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দল লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন
ব্যাটিংয়ে দুর্দশা নিয়ে যা বললেন বুলবুল
ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যা: ৩ জনের যাবজ্জীবন, খালাস ৪
বৃহস্পতিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়