July 5, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, July 5th, 2025, 11:15 am

কারণ ছাড়াই বাড়ছে চালের দাম

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চালের দাম বাড়তি।

 

বোরো মৌসুম শেষ না হতেই বাড়ছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে মানভেদে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। এ নিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে চালের দাম বাড়তি।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা ৬০ থেকে ৬৭ টাকা ও সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেট ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়, যা সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে চালের কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা বেশি।

সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) তাদের বাজারদরের প্রতিবেদনে চালের দাম বাড়ার তথ্য তুলে ধরেছে।

সংস্থাটির তথ্য বলছে, গত এক মাসের ব্যবধানে নাজিরশাইল/মিনিকেটের দাম ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, পাইজাম/লতার দাম ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ইরি/স্বর্ণার দাম ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ দর বেড়েছে। যদিও বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দাম বেড়েছে আরো বেশি।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এখন বাজারে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। এছাড়া, সরকারের গুদামেও যথেষ্ট পরিমাণে চাল মজুত আছে। চলতি অর্থবছরের শুরুতে সরকারের গুদামে চাল ও গমের মজুত রয়েছে ১৭ দশমিক ৬৪ লাখ মেট্রিক টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ টন বেশি।

চালের দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে করপোরেট হাউজগুলোর কারসাজি। করপোরেট হাউজগুলো বিভিন্ন বড় বড় মোকাম থেকে শত শত টন চাল মজুত করছে। এ কারণে বেড়েই চলেছে চালের দাম।

গরিবের মোটা চালের দামও কেজিপ্রতি ৬০ টাকার বেশি। নানা উদ্যোগের পরও চালের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং পাইকারি ও খুচরা দুই বাজারেই হু হু করে বাড়ছে দাম। পাইকারি বাজারে গত এক সপ্তাহে ৫০ কেজির বস্তায় ২৫০-৩০০ টাকা বেড়েছে। খুচরায় বিভিন্ন ধরনের চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে। পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়া এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মজুতের কারণে দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চালের আড়তদাররা।

চালের দাম বাড়তি প্রসঙ্গে বাদামতলী ও বাবুবাজার চাল আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি নিজামউদ্দিন বলেন, দেশের ধান, চালের বাজার এখন অটো রাইচ মিল ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর দখলে। এছাড়া বর্তমান আবহাওয়াও চাল উত্পাদনের জন্য উপযোগী নয়। তিনি চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে চাল আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানান।