আবুল কালাম আজাদ, মুরাদনগর(কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
মুরাদনগরে দিনমজুর মনির হোসেন হত্যার করে লাশ পলিথিন মুচড়ানো ড্রামে ভরে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার অভিযোগে আটক নিহতের ছোট ভাই স্ত্রী শাহিদা-প্রেমিক ইব্রাহিম ও আামেনাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত দিনমজুর নাম মনির হোসেন (৪৫) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন ইউসুফ নগর গ্রামের মৃতঃ আব্দুল মতিন ছেলে। মনির হোসেন স্ত্রী শাহিনুর আক্তার বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ৬জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ৩জন গ্রেফতার হলেও বাকি ৩জন পালাতক রয়েছে। মামলাটি তুলে নিতে পালাতকরা মামলাটি বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে জানায় নিহত মনির হোসেন স্ত্রী মামলা বাদী। একই দিনে গত বৃহস্পতিবার সকালে মুরাদনগর উপজেলা ২নং আকুবপুর ইউনিয়ন কড়ইবাড়ী গ্রামের পিটিয়ে ও কুপিয়ে তিনজনকে হত্যার করে কড়ইবাড়ী গ্রামবাসী। মিডিয়া তিন হত্যা নিয়ে ব্যাস্থ থাকায় একই দিন বৃহস্পতিবার বিকালে মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন ইউসুফ নগর গ্রামের মনির হোসেন হত্যা মামলা তেমন একটা প্রকাশিত হয়নি।
মনির হোসেন হত্যা মামলা আসামি হলো- ইউসুফ নগর গ্রামের মনির হোসেন ছেলে ইব্রাহিম (২৫), প্রবাসী তাজুল ইসলাম স্ত্রী শাহিদা, ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগম, বাবুল মিয়া ছেলে নিজাম উদ্দিন, রুক মিয়া ছেলে বাবুল মিয়া, কাজিয়াতল গ্রামের নুর মিয়া ছেলে আল আমিনসহ আর ২/৩জন। ইব্রাহিম, শাহিদা, আমেনা গ্রেফতার হলেও কুখ্যাত নিজাম উদ্দিন, বাবুল মিয়া, আল আমিন পালাতক রয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০/২৫ দিন পূর্বে মনির হোসেন ছোট ভাই প্রবাসে অবস্থানরত মোঃ তাজুল ইসলাম স্ত্রী শাহিদা আক্তার ঘর থেকে একই গ্রামের মনির হোসেন ছেলে মোঃ ইব্রাহিম রাত সাড়ে ১১ টায় ঘর থেকে বের হতে দেখে ফেলে মনির হোসেন। এবিষয়ে শাহিদার স্বামী ও ইব্রাহিমে অভিভাবকদের কে অবহিত করে মনির হোসেন। শাহিদা আক্তার ও ইব্রাহিম পরিবার গালমন্দ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনির হোসেন হত্যার পরিকল্পনা করে ওই দুই পরিবার। গত মঙ্গলবার(১ জুলাই) মনির হোসেন ইউসুফ নগর গ্রামের খিড়া মার্কেট থেকে ফেরার পথে তারা শাহিদার ঘরে ডেকে নিয়ে মনিরকে হত্যা করে শাহিদার ঘরে মেঝেতে পলিথিন মুচড়ানো ড্রামে ভরে মাটি চাঁপা দিয়ে রাখে। মনির হোসেন মঙ্গলবার রাতে বাড়ী ফিরে না আসায় পরদিন বুধবার বিকেলে মনির হোসেন স্ত্রী শাহিনুর আক্তার মুরাদনগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মনির হোসেন ছোট ভায়ের টিনসেট ঘর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয় বাসিন্দা মুরাদনগর থানায় মুঠোফোন করে জানায়। পুলিশ এসে শাহিদার ঘরের মেঝে মাটির খুড়ে মনির হোসেন লাস উদ্ধার করে।
স্থানীয় সাগর মিয়া, মতি মিয়া, উদ্দিন ও মোমেন বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল মনির হোসেন। বুধবার বিকেলে মুরাদনগর থানায় সাধারণ ডায়েরী করে দিনমজুর মনির হোসেন স্ত্রী শাহিনুর আক্তার (৩৫)।গত বৃহস্পতিবার নিহত মনির হোসেনের ছোট প্রবাসী তাজুল ইসলাম স্ত্রীর শাহিদা আক্তার(২৮) বসতঘর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হয়। বিষয়টি তারা সাথে সাথে মুরাদনগর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাই ঘরের মেঝে খুঁরে মনিরের মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটি চটের বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় ঘরের মেঝে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। এলাকাবাসী জানায়, নিহত মনির মিয়া পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন, তিনি বিভিন্ন কাজে ছোট ভাইয়ের বাড়ীতে যাতায়াত করতেন।
মুরাদনগর থানা ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এবিষয়ে নিহতের ছোট ভাই তাজুল ইসলাম স্ত্রী শাহিদা আক্তার, একই গ্রামের মনির হোসেন ছেলে প্রেমিক ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন
দুই কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় দালালদের দৌরাত্ম: আশুলিয়া ভূমি অফিসে সেবাপ্রত্যাশীরা জিম্মি
ভারতের ইন্ধনে সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এনবিআর- রাশেদ প্রধান
কুড়িগ্রাম ২২-বিজিবির বৃক্ষরোপন কর্মসূচী-২০২৫ পালিত