রংপুর ব্যুরো চীফ
রংপুর রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করেছে। ২০২৫ সালের গত ছয় মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রংপুর রিজিয়নে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২৩ জন এবং আহত হয়েছেন ২৪৬ জন। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে সাতটি থানায় ১১৬টি মামলা দায়ের এবং সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি প্রসিকিউশন দেওয়া হয়েছে।দুর্ঘটনার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকলেও সচেতনতার অভাবকেই প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে হাইওয়ে পুলিশ। তাই আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, পথসভা, বিভিন্ন জংশনে যাত্রীদের সচেতন করা এবং শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জানানোসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে শনিবার রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের পাগলাপীর বাজারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম নিজে যাত্রী ও চালকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন এবং পথসভায় শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। একইসাথে হাতীবান্ধার ঐতিহ্যবাহী বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়, যেখানে ৩৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পুলিশ সুপার সেখানে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এবং শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।শনিবার এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান হাইওয়ে “শিশু-কিশোরদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করে ভবিষ্যতের সড়ক নিরাপদ করতে হবে। আইন প্রয়োগ ও গণসচেতনতা একসাথে চললে দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।”
পুলিশ রংপুর রিজিয়নের সকল থানায় সড়ক দুর্ঘটনা কমানো এবং প্রতিরোধের লক্ষ্যে শিশুদেরকে সচেতন করার টার্গেট নিয়ে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে হাইওয়ে পুলিশ। আইনের প্রয়োগ এবং গণসচেতনতা কর্মসূচি একসাথে বাস্তবায়ন করলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বলে মনে করেন ।
আরও পড়ুন
গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের আন্দোলন এবং বিচক্ষণ নেতৃত্ব-ই তারেক রহমানকে মহানায়কে পরিণত করেছে
উন্নয়ন বিচ্যুতিতে রংপুর রেলওয়ে স্টেশন মাসে আয় কোটি টাকা, উন্নয়নে মন নেই
পাথর মেরে খুন, রংপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল