গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে হেনস্তা না করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দ্রুত বিচার না করলে গোপালগঞ্জে আমরা খুব শিগগিরই লং মার্চ করব। এবার গোপালগঞ্জকে আওয়ামীলীগ ও মুজিববাদ মুক্ত করে ফিরে আসব।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে ফরিদপুরে দলটির জুলাই পদযাত্রা উপলক্ষে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক সৈয়দা নীলিমা ইসলাম দোলা।
গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে হেনস্তা না করার অনুরোধ জানিয়ে সমাবেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে যেন হেনস্থা না করা হয়। কিন্তু ফ্যাসিস্টদের প্রত্যকে ঘরে ঘরে গ্রেফতার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আমাদের পূর্ব ঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আক্রমণ চালানো হয়েছে। গোপালগঞ্জকে ফ্যাসিস্টরা তাদের আস্তানা হিসেবে গড়ে তুলেছে। আমরা গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে মুজিববাদ থেকে মুক্ত করে ছাড়ব।’
বিচার প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গতকাল চারজন বিচার বহির্ভূতভাবে মারা গিয়েছে। কিন্তু বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগকে গ্রেফতার করতে হবে, বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা দেখছি গ্রেফতার হচ্ছে না, গ্রেফতার হলেও আদালত থেকে মুক্ত হচ্ছে। আমরা কিন্তু বিচারের দাবিতে মাঠে নেমেছি, বিচার না হওয়া পর্যন্ত ফিরবো না।’
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করলে, গোপালগঞ্জের খুব শীঘ্রই লংমার্চ করব। আমরা ফিরে আসার জন্য লং মার্চ করব না, গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষকে সম্পূর্ণরূপে আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদ মুক্ত করে ফিরব।
এ সময় তিনি জুলাই পদযাত্রা শেষে আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে অবস্থান নিবেন বলে জানিয়েছেন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য তৌহিদ আহমেদ আশিক, শ্রমিক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়ক মাজাহারুল ইসলাম।
এ সময় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় নেতা সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা, নাহিদা সারোয়ার নিভা প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বৃষ্টি উপক্ষো করে শহরের সার্কিট হাউজ থেকে জুলাই পদযাত্রা বের করে নেতাকর্মীরা। এতে কেন্দ্রীয় সকল নেতাসহ স্থানীয় এনসিপির নেতাকর্মী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এই সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকেই প্রশাসনের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। শহর এবং সড়কের পাশে অবস্থানে ছিল পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও এপিবিএন এর সদস্যরা।
আরও পড়ুন
চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, হয়ে যাচ্ছে মবোক্রেসি: সালাহউদ্দিন আহমদ
গোপালগঞ্জ ট্রমা এনসিপি’র তরুণ নেতাদের তাড়া করবে: মোস্তফা ফিরোজ
ফরিদপুরে নাহিদ:এনসিপি সন্ত্রাসীদের মানবাধিকারেও বিশ্বাস করে