দীর্ঘ দুই যুগ পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড়’ জাতীয় সমাবেশ আগামীকাল শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আগামীকালের সমাবেশকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য বেশ কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছে দলটি। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতীয় সমাবেশ- ২৫ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মিয়া গোলাম পরওয়ার সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে যেসব নির্দেশনা বলা হয়
১। সকলকে সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছানোর চেষ্টা করা ও মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ করা।
২। সম্মানিত আমীরে জামায়াতের বক্তব্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ব্যক্তি নিজস্ব স্থান থেকে সরবেন না।
৩। বৃষ্টি হলেও যার যার অবস্থানে বসে থাকতে হবে।
৪। জাতীয় পতাকা ব্যতীত ভিন্ন কোনও পতাকা প্রদর্শন করা যাবে না।
৫। মিছিল নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ক্রিয়াশীল কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া যাবে না।
৬। যাতায়াত ও সমাবেশস্থলে বয়স্ক ও শিশুদের (যদি আসে) অগ্রাধিকার দেওয়া।
৭। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশে ১৫টি মেডিকেল বুথ ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার থাকবেন। কোনও ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী মেডিকেল বুথ থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
৮। অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও সমাবেশস্থলে আমাদের পোশাকধারী স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। শৃঙ্খলার স্বার্থে তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
৯। প্রত্যেকে সম্ভব হলে চাহিদা মতো খাবার পানির বোতল সংগ্রহে রাখবেন।
১০। সমাবেশের কার্যক্রম শেষ হলে দ্রুতসময়ে সভাস্থল ত্যাগ করা।
১১। জরুরি প্রয়োজনে নিম্নোক্ত দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
মোবারক হোসাইন (নির্বাহী সদস্য) -০১৭৬৮ ৭৬০ ৭৪৯ / ডা: ফখরুদ্দিন মানিক – ০১৭৩৭ ৪৪৩ ১৪২ / এডভোকেট আতিকুর রহমান ০১৯১৮ ৮৮৮ ৭৯৩, ০১৯৫৯ ২৮০ ৫১৮ / কামাল হোসেন – ০১৮৯০ ৯৪১ ৯৮৪, ০১৩১৮ ৭৩৬ ৯৮৩
জানা গেছে, জামায়াতের এই সমাবেশকে ঘিরে কয়েক হাজার বাস ও মাইক্রো ঢাকায় প্রবেশ করবে। আগত গাড়ি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে
১। প্রত্যেক গাড়ির সামনের দিকে নির্দিষ্ট তথ্যসহ স্টিকার লাগানো। যেখানে অঞ্চলের নাম, ড্রপিং পয়েন্ট, পার্কিং প্লেস, ড্রাইভারের নাম ও মোবাইল নম্বর, সংশ্লিষ্ট গাড়ির দায়িত্বশীলের নাম ও মোবাইল নম্বর লেখা থাকবে।
২। প্রত্যেক শাখা থেকে আগত গাড়িগুলো যতদূর সম্ভব একসাথে রওনা করবে।
৩। ঢাকার ফ্লাইওভারে কোনও গাড়ি উঠবে না।
৪। গাড়িগুলো নির্দিষ্ট ড্রপিং পয়েন্টে ড্রফ করা এবং নির্ধারিত পার্কিং এরিয়ায় পার্কিং নিশ্চিত করা।
৫। সকাল ১০ টার মধ্যে সকল গাড়ি ঢাকায় নির্দিষ্ট ড্রপিং পয়েন্টে পৌঁছানোর চেষ্টা করা।
৬। কোনো গাড়ি নির্ধারিত ড্রপিং পয়েন্টে আসতে বা পৌঁছানো অসম্ভব হলে যেখানে সম্ভব সেখানে গাড়ি অবস্থান করবে এবং প্রোগ্রাম শেষে সকলকে সেখান থেকেই গাড়িতে উঠতে বলতে হবে।
৭। লাইনের গাড়িগুলোকে যথাসম্ভব নিজস্ব পার্কিংয়ে রাখার উদ্যোগ নেওয়া।
৮। গাড়ি পার্কিংয়ের সময় সিঙ্গেল লাইন পার্কিং করা এবং অন্য গাড়ির প্রবেশ ও বের হওয়ার জায়গা রাখা।
৯। ড্রপিং পয়েন্ট ও পার্কিং এরিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক এবং স্বেচ্ছাসেবকদের নির্দেশনা মেনে চলা।
১০। সায়দাবাদ, পোস্তগোলা, কদমতলী, মাতুয়াইল, কমলাপুর রেলস্টেশন, গাবতলী, মহাখালী, মানিক মিয়া এভিনিউ, উত্তরা আজমপুর এবং সদরঘাটে ১০টি স্থানে অভ্যর্থনা কেন্দ্র থাকবে। প্রয়োজনে অভ্যর্থনা কেন্দ্র থেকে সহযোগিতা নেওয়া যাবে।
এনএনবাংলা/আরএম
আরও পড়ুন
এ মাসে ‘জুলাই সনদ’ না হলে দায় সরকারের
প্রধান উপদেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করলেন স্পেসএক্স ভাইস প্রেসিডেন্ট
সামনে আরও লড়াই, সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি: নাহিদ ইসলাম