July 21, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, July 20th, 2025, 3:08 pm

হাসিনা ঘনিষ্ঠরা যুক্তরাজ্যে গোপনে সম্পদ বিক্রি করছেন

দ্যা গার্ডিয়ানের প্রকাশিত প্রতিবেদনের অংশবিশেষ।

 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পতনের পর ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পদ স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন।

লন্ডনের নাইটসব্রিজ, সারে’র ভার্জিনিয়া ওয়াটার কিংবা মেফেয়ারের বিলাসবহুল এলাকায় গত এক বছরে অন্তত ২০টি সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রি বা পুনঃঅর্থায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে- যেগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছেন ঢাকা থেকে শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ী ব্যক্তি ও পরিবার।

অভ্যুত্থানের পর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও যুক্তরাজ্যের প্রপার্টি বাজারে বাংলাদেশের বিতর্কিত ব্যক্তিদের সক্রিয়তা থামেনি। আর তাই ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন এনসিএকে (ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি) আরও সম্পত্তি জব্দের অনুরোধ জানিয়েছে।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী, বেক্সিমকো ও বসুন্ধরা

বড় আকারে সম্পত্তি হস্তান্তরের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলমের পরিবারের সদস্যরা।

গার্ডিয়ান উল্লেখ করেছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী শেখ হাসিনার শাসনামলে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছিলেন।

তার মালিকানাধীন সম্পত্তির সংখ্যা ছিল ৩০০’রও বেশি- ছোট অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে বিলাসবহুল টাউনহাউজ পর্যন্ত। গত মে মাসে এনসিএ তার ১৭ কোটি পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করে।

এদিকে বেক্সিমকো পরিচালনাকারী সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান রহমান ও ভাতিজা আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তারা মেফেয়ারের গ্রসভেনর স্কয়ারের সাড়ে ৩ কোটি পাউন্ড মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্টসহ একাধিক সম্পত্তির মালিক। এনসিএ গত মাসে এসব সম্পত্তিও জব্দ করেছে।

অন্যদিকে, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের মালিকানাধীন নাইটসব্রিজের চারতলা একটি টাউনহাউজ গত এপ্রিলে বিনামূল্যে হস্তান্তর করা হয় ব্রুকভিউ হাইটস লিমিটেড নামে এক ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের কাছে।

এরপর সম্পত্তিটি আবার নতুন একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি হয় প্রায় ৭৩ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে, যার পরিচালকের কোনো প্রকাশ্য প্রোফাইল নেই। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি মালিকানা লুকানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত প্রতিষ্ঠান।

পরিচিত আরেক সদস্য সাফিয়াত সোবহানের মালিকানাধীন সারে’র ভার্জিনিয়া ওয়াটারের ৮০ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি বাড়ির লেনদেনের জন্য দুটি আবেদন জমা পড়েছে।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী গত জুলাইয়ে লন্ডনের রিজেন্টস পার্কের পাশে ১ কোটি পাউন্ড মূল্যের একটি টাউনহাউজ বিক্রি করেন। এরপর আরও তিনটি সম্পত্তির পুনঃঅর্থায়নের আবেদন করা হয়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এনএনবাংলা/আরএম