July 27, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, July 26th, 2025, 5:23 pm

রংপুরে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বপ্ন, সংগ্রাম ও অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভা

রংপুর ব্যুরো:

রংপুরে ‘মুক্তিযুদ্ধ থেকে জুলাই অভ্যূত্থান : নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বপ্ন, সংগ্রাম ও অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার  রাতে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মানবাধিকার ও পরিবেশ আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামসাদ বেগমের সভাপতিত্বে এতে আলোচক ছিলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন ও যুক্তরাষ্ট্র উস্টার স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারডিসিপ্লিনারী স্টাডিজ বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. নাফিসা তানজীম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাপা’র প্রধান নির্বাহী অ্যাড. এএএম মুনীর চৌধুরী।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, অবিভক্ত ভারতবর্ষে নারীরা সকল লড়াই সংগ্রামে এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে তারা মূল্যায়িত হয়নি। এর মধ্যে কিছু নারীদের মানুষ মনে রেখেছে, আবার অনেক সংগ্রামী নারীদের ইতিহাসের পাতা থেকে প্রায় মুছে দেয়া হয়েছে। আমরা বেগম রোকেয়ার কথা জানলেও নওয়াব ফয়জুন্নেছার কথা জানি না। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও একমাত্র নারী নওয়াব, যিনি নারী শিক্ষার পথিকৃৎ। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৪৭ এর দেশ ভাগ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন এবং পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধ, সকল লড়াই সংগ্রামে নারীরা ছিলেন সামনের সারীতে। নারীদের সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে এ প্রজন্ম জানে না। ১৯৯১ সালে হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চায়ের বাগানে মুক্তিযোদ্ধারা গোপন বৈঠক করেছিল বলে সেখানকার চা শ্রমিক নারীরা নির্যাতিত হয়েছিল। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কেউ তাদের খোঁজ রাখেনি। নারীরা শুধু ব্যবহৃত হয়েছে, কিন্তু তাদের কাজের স্বাকৃতি ও মূল্যায়ন কেউ করেনি। তারা এখনও মজুরী বৈষম্যের শিকার।

বক্তারা আরও বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যূত্থানে এক মেয়ে পুলিশের ভ্যান ঠেকিয়ে দিয়েছিল। ছেলে সমন্বয়কদের সাথে এক মেয়ে ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। অভ্যূত্থান পরবর্তীতে সেই মেয়েরা কোথায়। তারা ঘরে ফিরে গেছে, কেউ আর খোঁজ রাখেনি তাদের। দেশের নারীরা ঘরে সন্তান লালন পালন করলেও তাদের মূল্যায়ন করা হয় না। আলোচনা সভায় বেগম রোকেয়ার চোখ দিয়ে সমাজের দুটি চাকার মত নারীদের একটি চাকা হিসেবে দেখার আহ্বান জানানো হয়। ###

আব্দুর রহমান মিন্টু

রংপুর ব্যুরো চীফ