July 27, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, July 27th, 2025, 4:43 pm

এখন থেকে হাউজিং প্রকল্পে লাগবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

 

এখন থেকে যেখানে-সেখানে আবাসন বা হাউজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। হাউজিং বা আবাসন প্রকল্পের জন্য যেকোনো পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে হলে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির পূর্বানুমোদন নিতে হবে।

সরকারি দপ্তর বা সংস্থা ভূমি অধিগ্রহণ করে ব্যবহার না করলে তা বাতিল (রিজিউম) এবং আবাসন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির অনুমোদন নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সকল জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ দুটি নির্দেশনা দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সব জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গত ১৬ জুলাই কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির ১৪৮তম সভায় নেওয়া দুটি সিদ্ধান্ত তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থার অনুকূলে এর আগে অধিগ্রহণ করা সম্পত্তি ওই দপ্তর বা সংস্থা ব্যবহার না করলে বা অব্যবহৃত থাকলে এ সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে রিজিউম করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকরা প্রতি মাসে নির্ধারিত ছকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।

যেখানে-সেখানে আবাসন বা হাউজিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না। অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির ১৪৮তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য এবং প্রথম গৃহীত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতি মাসের অগ্রগতি প্রতিবেদন (অগ্রগতি না থাকলে শূন্য প্রতিবেদন) নির্ধারিত ছকে (হার্ড কপি ও সফট কপি) পরবর্তী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে।

শহর এলাকার কাছাকাছি গ্রামীণ ভূমি চিহ্নিত করে আবাসিক ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট করা হবে। বন্যাকবলিত এলাকা ও উর্বর কৃষিজমি এর বাইরে থাকবে। সরকারি প্লট বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ কোটা থাকবে।

সমবায় সমিতি ও অলাভজনক সংস্থাকে ভূমি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করা হবে। উঁচু ভবন উৎসাহিত করা হবে। নগর এলাকার অব্যবহৃত খাস জমি নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ভূমি ব্যাংক গঠন করবে।

গ্রামাঞ্চলের খাস জমি ও চর নিয়ে গ্রামীণ ভূমি ব্যাংক করা হবে। প্রয়োজনে জমি কিনে ভূমি ব্যাংক সমৃদ্ধ করা হবে। উচ্চবিত্তের কাছে আবাসন শিল্প-বাণিজ্যের জন্য প্লট বিক্রি করে যে মুনাফা হবে তা থেকে নিম্নবিত্তদের জমি দেওয়ায় ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া হবে। ফ্ল্যাটের বেলায়ও ভর্তুকি দেওয়া হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতিমালা-২০০১ অনুসরণ করা হবে।

এনএনবাংলা/আরএম