মার্চ ২০২০। আঙুলে আংটি, মুখে হাসি, পাশে শৈশবের বন্ধু রনি রিয়াদ রশিদ—নুসরাত ফারিয়ার জীবনে যেন তখন সবকিছু গেঁথে আছে রঙিন স্বপ্নে। কথা ছিল, ডিসেম্বরেই বাজবে বিয়ের ঢাক। কিন্তু সেই সুর থেমে যায় অদৃশ্য এক প্রাচীরে।
বিয়ে হয়নি। কেটে যায় তিনটি বছর। তারপর একদিন, আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যায় বাগদান। তবে গল্পের ইতি এখানেই নয়—প্রায় চার বছর ধরে এই বিচ্ছেদের কথা জনসমক্ষে বলতে পারেননি ফারিয়া।
‘কীভাবে বলব সেটা বুঝতে পারছিলাম না,’ জানালেন তিনি সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে। ‘রনি জানতে চেয়েছিল, একসঙ্গে থাকতে চাই কি না। কিন্তু আমাদের সম্পর্কের আর কোনো ভবিষ্যৎ ছিল না। আমি থাকতে চাইনি।’
ফারিয়ার কাছে এটি ছিল জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলোর একটি। ‘মা-বাবা আর রনি—এই ছিল আমার পৃথিবী। ওকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারতাম না। ছোটবেলা থেকে সম্পর্ক, একসঙ্গে থাকা ছিল অভ্যাসের মতো। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তাই সহজ ছিল না।’
দুই বছর আগে আলাদা হলেও মন থেকে মুক্তি মেলেনি। ‘মানসিক অবসাদের কারণে তিন মাস কাজ করিনি। এখনও ওষুধ খাই, চেষ্টা করি মানিয়ে নিতে,’ বললেন তিনি।
কিন্তু জীবনের চাপ এখানেই থামেনি। ১৮ মে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক মামলায় রাজধানীর ভাটারা থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। ২০ মে, মুক্তির বাতাস ফিরে পান।
আরও পড়ুন
মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দুদকের
মিয়া খলিফার সঙ্গে তুলনায় সামিরা মাহির প্রতিক্রিয়া
ফারিণ প্রেমে পড়েছিলেন যেভাবে