August 15, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, August 14th, 2025, 8:32 pm

কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা প্রবল বৃষ্টির কারনে  কুড়িগ্রামের সবকটি নদ নদীর পানি হুহু করে বাড়ছে।ফলে এসব নদীর চর ও দ্বীপচরের নি¤œাঞ্চলসমুহে পানি উঠে ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি তলিয়েছে।বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে ফসলহানির আশংকা নদী অববাহিকার মানুষ ও কৃষকদের।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,গত ২৪ঘন্টায় সবকটি নদনদীর পানি খুবই দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এতে দুধকুমর নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি ৫৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ১৮সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।অন্যদিকে,ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে ও ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী,নুনখাওয়া ও হাতিয়া পয়েন্টেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

ফলে নদনদীর অববাহিকার নি¤œাঞ্চলসমুহ প্লাবিত হয়ে পড়ে অন্তত ৮হাজার মানুষ পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার চরের ও দ্বীপচরের বেশ কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠে তারা উচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।চরের কৃষি জমিগুলোতে পানি উঠে ঢেড়শ,শশা,পটল,ঝিঙে ও অন্য শাকসবজি,রোপা আমনসহ বীজতলা নিমজ্জিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৩ দফা নদীগুলোর পানি বেড়ে গিয়ে চরের কৃষিজমি তলিয়ে যাওয়ায় মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,এখন পর্যন্ত চলতি বন্যা সিচুয়েশনে ৩১৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ও বীজতলাসহ শাক সবজি তলিয়ে গেছে।

এদিকে,জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য বন্যা কবলিত নাগেশ্বরী,রাজারহাট,উলিপুর,চিলমারী,রৌমারী ও রাজিবপুরসহ এ ৬ উপজেলায় ইতোমধ্যেই খোলা হয়েছে ৬টি  কন্ট্রোল রুম যা বন্যা পরিস্থিতি তদারকি করবে বলে জেলা প্রশাসন সুত্র জানিয়েছে। জেলা ত্রাণ ও বন্যা পুনর্বাসন কার্যালয় সুত্রে জানা যায়,জেলার ৯ উপজেলায় প্রত্যেকটিতে ৩২০প্যাকেট শুকনো খাবার মওজুদ রয়েছে।প্রয়োজনে তা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়াও জেলায় ২হাজার ৫শত শুকনো খাবার ও ৪শত মে.টন চাল এবং ১৪লাখ টাকা জমা রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে শুকনো খাবার বিতরণ শেষ হলে কিংবা প্রয়োজনে সেখান থেকে বিতরণ করা হবে।