গত এক বছরে শেখ হাসিনার সরকার পতন ও তার ভারতে নির্বাসনের পর থেকে মোহাম্মদ এ. আরাফাত ব্যক্তিগত নতুন কোন কিছুর সাথে নিজেকে জড়াতে পারেননি কিংবা বলা যায় সুযোগ পাননি।
তাকে ব্যস্ত রেখেছে কেবল দলীয় কাজ এবং শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরার স্বপ্ন— যা তিনি দাবি করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘অবৈধ’ সরকার উৎখাতের মাধ্যমেই সম্ভব।
আরাফাত তাদের মধ্যে একজন, যিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পালিয়েছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের অংশ হিসেবে।
দলের এক সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, যিনি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, জানিয়েছেন— আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা একা নির্বাসনে যাননি। তাদের সঙ্গে আছেন সাংবাদিক, সিভিল সোসাইটি কর্মী, সেনা কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং কূটনীতিকরা, যাদের ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের এক ডাইনিকে শিকার’ – এর পর বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে।
যারা ভারতে এসেছেন, তাদের বেশিরভাগই বসতি গড়েছেন নিউ টাউনে— কলকাতার উপকণ্ঠে গড়ে ওঠা দ্রুত বর্ধনশীল এক পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহরে। প্রশস্ত সড়ক, সহজলভ্য ভাড়ার সাশ্রয়ী অ্যাপার্টমেন্ট, শপিং মল, ফিটনেস সেন্টার, আর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তীতা— সব মিলিয়ে নিউ টাউন তাদের জন্য হয়ে উঠেছে আদর্শ আবাসিক কেন্দ্র।
পরিবার-পরিজন যারা এখনো বাংলাদেশে আছেন তাদের থেকে দূরে, নির্বাসিতদের জীবন এখন এক ছন্দে বাঁধা: ফজরের নামাজ, জিম সেশন বা সকালের হাঁটা, প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনলাইনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক—বাংলাদেশের ভেতরে ও বিশ্বের নানা প্রান্তে এবং দেশে ফেরার আশা। এভাবেই আছেন পাশের দেশ ভারতে কলকাতায় পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
ভারতের পররাষ্ট্রনীতি কি ধ্বংসের পথে
হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
২০৭ কোটি টাকা আত্মসাতে আসামি এস আলম, রন ও রিক শিকদারসহ ২৬ জন