রংপুর ব্যুরো:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বেরোবি)ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনে তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে আন্দোলনকে বানচাল করতে ২ শিক্ষার্থীকে অনশন থেকে তুলে নেয়াসহ নানামুখি তৎপরতার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ১৭ ব্যাচের আন্দোলনে যোগ হওয়ার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাটক সাজানোর অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনশনে থাকা শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসা অবহেলার। নতুন করে আরও এক শিক্ষার্থীকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ইউজিসির সাথে কথা বলেই ১০ কার্যদিবসের মধ্যেই দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও অনশন ভাংগছেন না শিক্ষার্থীরা। এদিকে আন্দোলনের মুখে আগামী বৃহস্পতিবার ছাত্র সংসদ আইনের খসরা বিধি চুড়ান্ত করার বৈঠকের চিঠি ইস্যু করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা গেছে, তৃতীয় দিনে গড়া ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের উত্তর গেইটে আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের বিভিন্ন ধরনের প্লাকার্ড বহন করছেন। এরই মধ্যে অনশনে থাকায় গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান। বেলা ১ টার দিকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সে করে নেয়া হয় কমিউনিটি হাসপাতালে। এ নিয়ে মোট ৫ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেয়া হলো। হাসপাতালে থাকা অপর শিক্ষার্থীরা হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৬ ব্যাচের জাহিদ হাসান জয়, গণিত বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১২ তম ব্যাচের মাহমুদ কায়সার। এছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহিদুল ইসলাম মাহিদ হাসাপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আবারও ফিরেছেন অনশনে।
এদিকে মঙ্গলবারও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে এসে আমরণ অনশনকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে। তারা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি মানতে প্রশাসনের ঢিলেমি দাবি করে প্রতিবাদ জানান। এসময় তারা প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠে ভিসির রুমের সামনেও বিক্ষোভ করেন। একই সাথে আরেকদল শিক্ষার্থী প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেইটে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।
আন্দোলন বানচাল করার নানামুখি তৎপরতার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের:
রোববার (১৭ আগস্ট) আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে অনশন থেকে উঠে যান ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শিবলি সাদিক ও জেন্ডার এন্ড উইমেন ভেভলোপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৫ ব্যাচের মুশফিক। এর কিছুক্ষণ আগে ইউজিসির বরাত দিয়ে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বৈঠক করে প্রজ্ঞাপন জারি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে সময় প্রার্থনা করেন ভিসি ড. শওকাত আলী। এরপর সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম এবং কিছু অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এইসব ঘটনাকে আন্দোলন বানচালে প্রশাসন ও একটি বিশেষ গোষ্ঠির নানামুখি তৎপরতা বলে অভিযোগ করে ক্ষোভ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ভিসির ওই চিঠিকে প্রত্যাখ্যানও করেছেন অনশণকারী শিক্ষার্থীরা।
অনশনে থাকা পরিসংখ্যান বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী খোকন ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেয়া প্রেস রিলিজ একটা সাজানো নাটক। কারণ সবাই বোঝে দুই জন গেলো। আর বলা হইলো যে অনশই প্রত্যাহার করা হলো। এখানে যে বাকি ৭ জন আছে তাদেরকে গনায় ধরতেছে না। এই দুইজন যাওয়াকে মিস ইন্টারপেড করে দেখার কোন কারণই নাই। খোকন বলেন, আগে কোনটা ইস্পর্টেন্ট। প্রেস রিলিজ দেয়া নাকি আগে যারা অনশনে বসেছে তাদের অনশন ভাঙ্গানো। প্রেস রিলিজ দিয়ে উনি ( ভিসি) কাকে কি দেখাইতে চায়। জাতির কাছে কি তুলে ধরতে চায়। যে আমি এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওরা মানতে চাচ্ছে না। এই প্রশ্ন রাখেন খোকন।’
অনশন থেকে উঠে যাওয়া শিক্ষার্থী মুশফিক জানান, ‘ ভিসির প্রতি আমার আস্থা আছে। সেকারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে তার প্রতি আস্থা রেখে অনশন থেকে উঠে যাচ্ছি। এতে দলীয়ভাবে কিংবা প্রশাসনিকভাবে কেউ আমাকে প্রভাবিত করে নি। আমি ১০ কার্যদিবস ভিসিকে সময় দিতে চাই। যেহেতু তিনি সময় চেয়েছেন। ‘
অনশন থেকে উঠে যাওয়া আরেক শিক্ষার্থী শিবলি সাদিক বলেন, ‘ভিসি যে প্রেস রিলিজ দিয়ে ১০ দিন সময় চেয়েছেন। তার সাতে আমি একমত। তাছাড়া আমার শরীর ভালো যাচ্ছে না। সেকারণে আমি অনশন থেকে উঠেছি। তবে আমি দাবি থেকে একচুলও নড়িনি।’
অন্যদিকে অনশনে থাকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহিদুল ইসলাম মাহিদ অভিযোগ করেন, সোমবার (১৮ আগস্ট) সাড়ে তিনটার দিকে ১৭ তম ব্যাচের ( প্রথম বর্ষের) শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে এসে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। এসময় আমি নিজেই তাদের বলি বিকেল ৫ টায় একটা কর্মসূচি আছে আপনারা যদি আপনারা মনে করেন আসতে পারেন। কিন্তু আমার এই বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করে একটি পোর্টালে নিউজ করা হয়েছে যে জোড় করে আমরা তাদেরকে আন্দোলনে এনেছি। এবং সেখানে প্রক্টরও তাদের সাথে সুর মিলিয়ে সাংবাদিকদের বক্তব্য দিয়েছেন। এই ইস্যুকে প্রক্টর এবং প্রশাসন একটা সেনেমাটিক জিনিস দেখানোর ট্রাই করেছে। ১৭ ব্যাচকে দিয়া তারা একটা দুর্বল স্ক্রিপ্ট বানাইছে। যে তাদেরকে আমরা র্যাগ দিয়ে নিয়ে এসেছি। তাদের ইচ্ছে ছিল বলেই তারা আসছে। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেস্টা চলছে মানে আমাদের আন্দোলনকে বানচাল করার প্রশাসনিক ও বিশেষ গোষ্ঠির অংশ। সেটা হালে পানি পাবে না।
১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী জানান, ‘ আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের একমাত্র প্লাটফর্ম মনে করি ছাত্র সংসদ। যাতে কোন হলে ফ্যাসিবাদি সময়ের সেই গেস্টরুম কালচার গড়ে না উঠে। সেকারণেই আমরা সংহতি প্রকাশ করতে গিয়েছি। তারা আমাদের র্যাগ দিয়ে নিয়ে যায় নি। বরং আমরা যখন সেখানে গেছি তখন বলেছে যদি আপনাদের ইচ্ছে হয় তাহলে অন্য কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু এই বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা আন্দোলনের পক্ষে আছি।’
এ ব্যপারে প্রক্টর প্রফেসর ফেরদৌস রহমান জানান, ‘ আমাকে কয়েকজন সাংবাদিক এসে জিজ্ঞাসা করেছে ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জোড় করে আন্দোলনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি তখন বলি এধরণের কোন তথ্য আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি এ ধরণের কাজ করে সেটা ঠিক নয়। কিন্তু আমার এই ব্যাখ্যাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে ভুলবোঝুবঝি তৈরি করা হয়েছে। এটা ঠিক নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একমত জন্যই রোববার থেকে এককাপড়ে বাসায় না গিয়ে অফিসেই অবস্থান করছি।
আন্দোলন বানচাল করতে প্রভাব বিস্তার করে দুই শিক্ষার্থীকে অনশন থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ সম্পর্কে ভিসি ড. শওকাত আলী বলেন, ‘ এটা সম্পুর্ন মিথ্যা কথা এবং আমাদের অর্জনকে নস্যাত করার একটা চেস্টা করছে একটা পক্ষ। আমি তাদের হুশিয়ার করে দিতে চাই। যারা এ ধরণের অপতৎপরতা করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো। এছাড়াও তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরেই এই আইন সংযুক্ত করার জন্য সিন্ডিকেটে পাশ করে ইউজিসিতে পাঠিয়েছি। আশা করছি খুব সময়ের মধ্যেই সেটা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হবে। আমি এক শার্টেই রোববার থেকে অফিসে অবস্থান করছি। বাচ্চারা অনশনে থাকবে আর আমি বাসায় যাবো এটা কখনই অভিভাবক হিসেবে আমি সমীচিন মনে করিনি। সেকারণে এ ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমি অফিসেই থেকে যাবো।
চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ:
অনশনে থাকা ইলিকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আশিক জানান, ‘ সোমবার রাতে যখন সহযোদ্ধা কায়সার অসুস্থ্য হয়। তখন আমরা তাকে দ্রুত নিয়ে যাই হাসপাতালে। ওই সময় প্রশাসন ২ জনকে অনশন থেকে তুলে নেয়ার নাটক সাজায়। আমরা হাসপাতালে গিয়ে বারংবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা হাসপাতালে অসুস্থ্য শিক্ষার্থীদের একবারের জন্য ও দেখতে যায় নি।
অনশনে থাকা সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব জানান, আমরা যারা এখানে অনশনে বসেছি। সবার লবনই কমে গেছে। কেউ অসুস্থ্য হলে প্রাথমিক যে চিকিৎসা সেটাও ঠিকভাবে করা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসকও এখানে সার্বক্ষণিক রাখা হয় নি। একজন মাত্র নারী নার্স রাখা হয়েছে। এটা তামাশা।
অনশনে থাকা রাষ্ট্র বিজ্ঞানি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী নয়ন মিয়ার অভিযোগ, ‘ অসুস্থ্যদের চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বে থাকা ডা. শাহরিয়ারকে রাখা হয়েছে। তিনি একজন ডেন্টাল চিকিৎসক। তাকে দিয়ে কিভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বিষয়টি আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। পুরো তামাশা তৈরি করেছে প্রশাসন।
কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী রহমত আলী জানান, ‘ আমাদের অসুস্থ্য ভাইদের চিকিৎসা নিয়েও তামাশা করছে প্রশাসন। যদি তারা চিকিকৎসা না দিতে পারেন তাহলে প্রশাসন সেটা বলে দিকে। আমরা শিক্ষার্থীরা চাঁদা-হাড়ি দিয়ে ভালো চিকিৎসক এনে তাদের চিকিৎসা করাতে চাই। যাতে তাদের বড় কোন বিপদ না হয়।
এ ব্যপারে ভিসি ড. এম শওকাত আলী জানান, ‘এসিসটেন্স প্রক্টর সেখানে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে আছে। আমরা তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের চারজন চিকিৎসককে রুটিন ওয়াইজ ডিউটি দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘
সোমবার দিবাগত গভীর রাতে শিক্ষর্থীদের দেখতে যান রংপুরের ডিসি মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং ভিসির সাথে বৈঠক করেন। তিনি জানান, বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আমার পক্ষ থেকে অবহিত করে দ্রুত সমাধানের চেস্টা করছি।
আমরণ অনশনে সংহতি জানানো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শামুসর রহমান সুমন জানান, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে বানচাল করতে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদি পক্ষ এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি ক্যাম্পাসে যারা চলমান রাখতে চায় সেই পক্ষটি বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এটাকে আমরা মোকাবেলা করবো। আমরণ অনশনে বসার আগে আমরা ৩ মাস লাগাতর কর্মসুচি পালন করেছি। কিন্তু প্রশাসন, ইউজিসি বা ইন্টিরিম আমলে নেয় নি। সেকারণে আমরা বাধ্য হয়েছি। সরকার বা ইউজিসির কোন দ্বায়িত্বশীল ব্যাক্তি সরাসরি অথবা ভিডিও কনফারেন্সে আমাদের মাঝে ঘোষণা দিক কোনদিন রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। তাহলে আমরা উঠে যাবো। অন্যথায় নয়, ‘ আস্তে আস্তে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবাই এসে অনশনে যোগ দিয়ে তখন যে কোন পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই দায়ী থাকতে হবে।’
ইউজিসির বৈঠক বৃহস্পতিবার:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর আইন ২০০৯ এর ৩৮ ও ৩৯ ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেট কর্তৃক খসরা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এর গঠনতন্ত্র টি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন দেওয়ার নিমিত্তে সংবিধিটা পরীক্ষা ও চুড়ান্তকরণের সহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের গঠিত কমিটির সভা আগামী ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বসবে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ইউজিসির সিনিয়র সহকারী সচিব শেখ আনিছুজ্জামান স্বাক্ষরিত পত্রে এটা জানানো হয়।
ইউজিসি সূত্র জানায়, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাস্ট্রপতি অনুমোদন দিলে তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করবে সরকার। এরপর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার ( ১৭ আগস্ট) সকাল ১১ টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের উত্তর গেইটে আমরণ অনশনে বসেন কিছু শিক্ষার্থী। তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্য্যাম্পাসে মিছিলসহ বিভিন্নকর্মসূচি পালন করে আসছেন। মধ্যে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে গেছেন ৪ জন।
আব্দুর রহমান মিন্টু
রংপুর ব্যুরো চীফ
আরও পড়ুন
দেশের প্রথম ইংলিশ ম্যারাথন
ইউজিসির নির্দেশ অমান্য করে তড়িঘড়ি করে বেরোবিতে আবারো শিক্ষক নিয়োগ!
বেরোবিতে শিক্ষক নিয়োগে বঞ্চিত নিজেদের শিক্ষার্থী, ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের