August 21, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, August 20th, 2025, 6:21 pm

আমেরিকা-বিরোধী ও ইহুদিবিদ্বেষী মনোভাব থাকলে দেওয়া হবে না ভিসা

 

যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে বা কাজের জন্য যেতে হলে এখন থেকে নতুন এক ধরনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

মার্কিন অভিবাসন দপ্তরের কর্মকর্তারা যদি কোনো আবেদনকারীকে ‘আমেরিকা-বিরোধী’ বলে মনে করেন, তাহলে হবে তার সর্বনাশ। আজ বুধবার (২০ আগস্ট) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই খবর জানিয়েছে।

গতকাল এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। নতুন এই নীতিমালার অধীনে অভিবাসন কর্মকর্তারা এখন থেকে আবেদনকারীদের ‘আমেরিকা-বিরোধী বা সন্ত্রাসী সংগঠনের’ সঙ্গে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না, তা পরীক্ষা করবেন।

এ ছাড়া আবেদনকারীদের ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার নজির আছে কি-না, তাও যাচাই করা হবে। এই নতুন ও সম্প্রসারিত নিরীক্ষা প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যক্রমও অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা সংস্থার (ইউএসসিআইএস) হালনাগাদ নীতিমালায় এসব কথা বলা হয়েছে। ইউএসসিআইএসের মুখপাত্র ম্যাথু ট্রাগেসার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘যারা আমেরিকাকে ঘৃণা করে ও আমেরিকা-বিরোধী মূল্যবোধের প্রচার করে, তাদেরকে আমেরিকার কোনো সুফল ভোগ করতে দেওয়া উচিত নয়।’

তবে এই হালনাগাদ নীতিমালায় ‘আমেরিকা-বিরোধী’ মনোভাবের সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র বলা হয়েছে, যারা ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাস ও এর সঙ্গে জড়িত সংগঠন এবং ইহুদিবিদ্বেষী মূল্যবোধ ধারণ করেন, তারাও ‘আমেরিকা-বিরোধী’ বলে বিবেচিত হবেন। এই অস্পষ্ট নীতির কারণে ইন্টারনেটে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনলাইন ফোরামগুলোয় এ নিয়ে নানান মন্তব্য ও মত প্রকাশ করছে।

বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীরা এই নীতির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ব্রিগহ্যাম ইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক লিলি লোপেজ সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছেন, এটা খুবই উদ্বেগজনক। একজন আবেদনকারীকে ‘আমেরিকা-বিরোধী’ নন এমন প্রমাণ দিতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।

মার্কিন অভিবাসন কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ ফেলো অ্যারন রেইখলিন-মেলনিক তার এক্স পোস্টে এই উদ্যোগকে ‘ম্যাককার্থিইজম’ এর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এই শব্দটি (আমেরিকা-বিরোধী) এর আগে কখনো অভিবাসন আইনে যুক্ত করা হয়নি এবং এর সংজ্ঞা পুরোপুরি ট্রাম্প প্রশাসনের মস্তিষ্কপ্রসূত।

এনএনবাংলা/