October 18, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, August 21st, 2025, 2:49 pm

জুলাই ৩৬ দিয়ে প্রথম বারেরমত জেলা পর্যায়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা দল চ্যাম্পিয়ান

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

জুলাই ৩৬ গোল্ডকাপ দিয়ে ফুটবল টুর্ণামেন্টের কোন কাপে জেলা পর্যায়ে প্রথম বারেরমত গঙ্গাচড়া উপজেলা দল গৌরবের চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। স্বাধীনতা থেকে এ পর্যন্ত কোন গোল্ডকাপ ফুটবলের কোন কাপেই গঙ্গাচড়া উপজেলা দল চ্যাম্পিয়ান হতে পারে নাই। তাই এবার জুলাই ৩৬ কাপে চ্যাম্পিয়ানে গঙ্গাচড়া বাসী গৌরম্বিত হয়েদাঁত ভাঙা উল্লাসে মেতে উঠে। গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় রংপুর স্টেডিয়ামে গঙ্গাচড়া উপজেলা ফুটবল দল বনাম রংপুর সদর উপজেলা ফুটবল দল মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার নির্ধারিত সময়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা দল-২-১-গোলে সদর উপজেলাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ান হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে খেলা উপভোগ করেন ও পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। এ সময় তিনি দর্শকদের দাবির প্রেক্ষিতে রংপুর স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম করার কথা জানান। এ সময় জেলা প্রশাসকসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা, খেলা আয়োজন কমিটি ও উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে দীর্ঘ ১৬ বছর পর রংপুর স্টেডিয়ামে গোল্ডকাপ ফুটবলের আয়োজন করায় স্টেডিয়ামে ১ লাখেমত দর্শক উপস্থিতি হয়। সবাই বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়ে ও স্টেডিয়ামের অতিথি ভবনের ছাদে এবং বাহিরে প্রায় ৫০ হাজার দর্শক বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের ছাদে চড়ে খেলা দেখেন। অন্যদিকে স্বাধীনতা থেকে দেশে জেলা পর্যায়ে যত ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছে কোনটাতে জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ান হতে পারে নাই গঙ্গাচড়া। এমনকি জেলার অনেক উপজেলা এ অর্জন করতে পারে নাই। গঙ্গাচড়া বাসীর অভিযোগ জেলায় খেলা হওয়াতে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে বার বার। তারা পক্ষপাত মুলক আচরণ করে বাহিরের উপজেলাকে হারিয়ে দিত। সে সময় প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থার লোকজনসহ রেফারির ভুমিকা পক্ষপাত ছিলো। অথচ গঙ্গাচড়ার অনেক ভালো মানের খেলোয়াড় আছে যারা বিভিন্ন জেলায় খেলতে যায়। এবার জুলাই ৩৬ কাপে সেটা করার সুযোগ পায় নাই বলে গঙ্গাচড়া উপজেলা একাদশ এত বছর পর চ্যাম্পিয়ান হলো। গঙ্গাচড়া উপজেলা একাদশ চ্যাম্পিয়ান হওয়ার পেছনে মুল অবদান রেখেছেন ফুটবল প্রেমী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা, স্টেডফাস্ট কুরিয়ারে ব্যবস্থাপনা পরিচালক গঙ্গাচড়ার কৃতি সন্তান কেএম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন। রয়েছেন গঙ্গাচড়া স্পোর্টস একাডেমি, বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ। সবাই খেলোয়াড়দের মানসিক তৈরি করতে নানাভাবে সাহস ও সহযোগিতা করেছেন। জনসাধারণতো খেলোয়াড়দের অনুশীলনের সময়েও মাঠে উপস্থিত হয়ে উৎস দিতো। খেলোয়াড়রাও তাদের সর্বস্ব দিয়ে সবার সাহস ও উৎস ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন এবং শেষ আনন্দটা সবাইকে উপহার দিয়েছেন। গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, আমি সরকারি একজন কর্মকর্তা। সরকার আমাকে যখন যেখানে দায়িত্ব দিয়ে পাঠাবে সে জায়গা নিজের মনে করে সেবা দিতে হবে। তবেই মানুষ প্রকৃত সেবা পাবে। আমি সেটাই চেষ্টা করছি এবং করে যাবো। গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রথম জেলা পর্যায় চ্যাম্পিয়ান হওয়ায় আমি গর্বিত। এ সফলতাকারী খেলোয়াড়রা সর্বচ্চ ভাল খেলেছে। এছাড়া স্টেডফাস্ট এর পরিচালক কেএম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন যিনি বিভিন্নভাবে সহযোগী করে অবদান রেখেছেন। জুলাই বিপ্লবের সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র, জনপ্রতিনিধি, সুধিজন ও গঙ্গাচড়া বাসী সবার আলাদা সাপোর্ট থাকায় ছিলো।

 

আব্দুল বারী স্বপন