October 18, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, August 21st, 2025, 2:56 pm

কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধার মানুষের দীর্ঘ সময়ের প্রতীক্ষার অবসান উদ্বোধন হলো মাওলানা ভাসানী সেতু

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

সীমান্ত ঘেঁষা কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা কুড়িগ্রাম থেকে গাইবান্ধাগামী তিস্তা নদীর উপর নির্মিত সেতুর।অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে এ দুই পাড়ের বাসিন্দাদের।বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করলেন অন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার মানুষের সেতু বন্ধন আরো দৃঢ হবে বলে সংশ্লিষ্টদের।

মাওলানা ভাসানী সেতুটি ১হাজার ৪৯০ মিটার অর্থাৎ প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে। এই সেতুটির পিসি গার্ডার নির্মাণ করেছেন সৈয়দী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না  স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। সেতুটি নির্মাণ করতে  ৭ শত ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।এ সেতু চালু হওয়ায় দুই পাড়ের মানুষ সকাল থেকেই ভিড় করতে থাকেন। জেলার বিভিন্ন এলাকার উৎসুক জনতা ও বিভিন্ন দলের নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত হতে থাকেন সেতুর দুই পাড়ে।

গাইবান্ধা থেকে আগত স্বামী-স্ত্রী মামুন ও রীতা বেগম এসেছেন কুড়িগ্রাম পাড়ের মানুষের আনন্দ দেখতে। তারা বলেন,আমরা সেতু উদ্বোধনের পর পরই সেতুর ওপর দিয়ে মোটর সাইকেলে চরে মাত্রা ১০মিনিটে কুড়িগ্রামের চিলমারী চলে আসি। গত কয়েকদিন আগেও এটি কল্পনা করা যেতনা। এখানে আসতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে।

কুড়িগ্রামের চিলমারী জোরগাছ বাজার এলাকা থেকে আগত আব্দুস সোবহান মিয়া জানান,আমরা কল্পনাও করতে পারছিনা যে এ সেতু উদ্বোধন করে আজ থেকে তা চলার জন্য চালু করে দেয়া হলো। আমরা কুড়িগ্রামের মানুষ খুবই খুশি।এ সেতুর ওপর দিয়ে নাইট কোচ বা ডে কোচে কমপক্ষে ৩-৪ঘন্টা সেভ করে এখন থেকে ঢাকা যেতে পারব।

সেতুটিকে কেন্দ্র করে দুইপাড়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দোকানপাটসহ, বিভিন্ন কর্মমুখী ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে উঠেছে।সেতুটি উদ্বোধনের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম থেকে প্রায় ১৩৫ কি:মি: দুরুত্ব কমে আসছে।ফলে উওরের এই সীমান্ত ঘেঁষা জেলার মানুষজন, ঢাকাসহ  দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সহজে যেতে পারবে।অন্য দিকে, কুড়িগ্রাম থেকে দূরপাল্লার যানগুলোর যেমনি  জ্বালানি খরচ কমবে, তেমনি সময় কমে আসবে।ফলে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে।