বেরোবি প্রতিনিধি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শহীদ মুখতার ইলাহী হল বিভিন্ন সমস্যা জর্জরিত থাকলেও গত ৭ আগস্টের পর থেকে হলে আসেন না হল প্রভোস্ট ড. মো
কামরুজ্জামান।
হলের একাধিক সমস্যা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি হলের দায়িত্ব নেই। আমি হলে আর যাই না। কোনো কাগজে সাক্ষর করি না। আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। প্রশাসন তা এখনো গ্রহণ করেনি।
জানা যায়, ৫ আগস্টের বিশেষ খাবার আয়োজনের ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা তৈরি হলে তিনি ৭ আগস্ট বিকেলে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর থেকে তিনি আর হলে আসেন না।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ, হলে ডাইনিংয়ে নিম্নমানের খাবার, ফিল্টার নষ্ট, হলে সিট পেয়ে উঠতে নাসহ একাধিক সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও ডাইনিংয়ে মাত্র ২ লিটার ফিল্টার দেওয়ায় সেটি ব্যবহার হচ্ছে না। তাই ডাইনিংসহ ফ্লোর গুলোতে এখনো ট্যাবের পানিই খাচ্ছে সবাই।
শহীদ মুখতার ইলাহী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোকছেদুল মমিন বলেন, আমাদের হলের ফিল্টারটি শুরু থেকেই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে, এদিকে হলের নাই কোনো প্রভোস্ট প্রায় ১ মাস হতে চলেছে। শিক্ষার্থীদের নানান সমস্যার মধ্যে এভাবে একটি হল অভিভাবকহীনভাবে চলতে পারে না। হয় অনতিবিলম্বে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হোক অন্যথায় পূর্বের প্রভোস্টকে কালবিলম্ব না করে কাজে ফেরার ব্যবস্থা করা হোক- বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নাটকীয়তার ফল শিক্ষার্থীরা ভোগ করবে কেনো?
আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মাইদুল ইসলাম বলেন, হলের ডাইনিং-এ প্রতি বেলায় ২০০-৩০০ জনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। খাবারের মান যেমন অস্বাস্থ্যকর তেমনি অনিরাপদ। এখানে যে পানি সরবরাহ করা হয় তা আসলে বিশুদ্ধ পানি নয়। পানির জন্য ক্ষতিকর কিছু ধাতব পদার্থ হলো পারদ, সিসা, ক্যাডমিয়াম এবং আর্সেনিক। এই ক্ষতি কারক উপাদানগুলো পানির সাথে মিশে পানিকে দূষিত করে এবং যা আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়। আমাদের ডাইনিং এ খেতে গিয়ে এরকম অনিরাপদ ও দূষিত পানি পান করতে হচ্ছে বাধ্য হয়েই। এই দূষিত পানি মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুস্থতা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টা বিবেচনায় এনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শুধু নামমাত্র ফিল্টারের ব্যবস্থা না করে বড় মাপের কার্যকর পানির ফিল্টার প্রতিস্থাপন করতে হবে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ পানি পান করতে পারে। সেই সাথে ডাইনিং এর খাবারের মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অতিদ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এ ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদ বলেন, পারিবারিক কারণে হল প্রভোস্ট ছুটিতে ছিলেন। গতকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) রংপুরে এসেছেন। হলে অন্যান্য সহকারী প্রভোস্টরা হলে যাচ্ছেন। কাজ করছেন।
আরও পড়ুন
মুরাদনগরে মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বেরিয়ে নিখোঁজ মারুফা
রংপুরে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
কালীগঞ্জের নবাগত (ইউএনও) এ.টি.এম কামরুল ইসলাম