August 28, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, August 27th, 2025, 2:11 pm

টাঙ্গাইল- ৪ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিএনপি নেতা ডাঃ শাহ আলম তালুকদার

মোস্তফা কামাল নান্নু, টাঙ্গাইল

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ করতে ব্যস্ত সময় পারছেন। নির্বাচনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়েই চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রচারণায় থেমে নেই দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীতা বিএনপি। আর এই নির্বাচনটি বিএনপি বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন। এ জন্য প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে কাজ করছে দলটি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষণা করছেন— দলের ত্যাগী, জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার, সৎ-আদর্শবান, ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারী, সাধারণ মানুষসহ সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য এবং ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদেরকে মনোনয়ন প্রদান করবেন। এ লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খুঁজতে দেশের প্রতিটি আসনে মাঠ পর্যায়ে প্রার্থীতা জরিপ ও বায়োডাটা সংগ্রহ করছে বিএনপি।

এরই ন্যায় টাঙ্গাইল- ৪ (কালিহাতি)  আসনও তার ব্যতিক্রম নয়। জেলার রাজনৈতিক একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন এই কালিহাতি বাসীর প্রাণের দাবী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে সৎ, যোগ্য, দুর্বৃত্তপরায়নমুক্ত ও সবচেয়ে জনসমর্থিত ব্যক্তিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দিবেন। বিএনপির করণীয় ঠিক করতে অনেক বেশি উদার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাস্তব ভিত্তিতে উপলব্ধি করতে হবে বলে কালিহাতির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন। এদিকে এই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক ডাঃ শাহ আলম তালুকদার সাধারণ মানুষের কাছে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন।

স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর কালিহাতি আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। বিএনপি নেতাকর্মীরা কেউ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারেনি। সমৃদ্ধ স্বনির্ভর  ও দুর্বৃত্তপরায়ণমুক্ত কালিহাতী গড়ার লক্ষ্যে সৎ ও ক্লিন ইমেজের মানুষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহ আলম তালুকদারকে এমপি পদে মনোনয়ন দিলে বিএনপি এই আসনটি খুব সহজেই ফিরে পাবে। খ্যাতিমান এই চিকিৎসক সাংগঠনিক কোন পদে না থেকেও দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন।

করোনা কালীন সময়ে তিনি জীবন বাজি রেখে মানুষের ঘরে ঘরে চিকিৎসা সেবা এবং গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিএনপিকে মনে রাখতে হবে এই আসন টি আওয়ামী লীগের ঘাটি। তারা নির্বাচনে আসতে না পারলেও স্বতন্ত্র কাউকে প্রার্থী করে আসন টি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে।আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এ আসনের মানুষের সেবা করে আসছেন বিএনপি নেতা অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ শাহ আলম তালুকদার। তিনি দীর্ঘ সময়কাল ধরে দলের নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে আছেন। দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন।

সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়,

মানবতার ফেরিওয়ালা অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহ আলম তালুকদার ইতোমধ্যে সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ের স্পন্দনে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও দুর্বৃত্তপরায়নমুক্ত কালিহাতি গড়ার লক্ষ্যে আলোকিত হয়ে উঠছেন। ১৯৭৭ সালের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রেফারেন্ডাম ভোট থেকে শুরু করে পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শাহ আলম তালুকদার।

তার চাচা মরহুম নুরুল আলম তালুকদারের (প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সহ সভাপতি, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, কালিহাতি উপজেলা বিএনপি) হাত ধরেই তার রাজনৈতিক পদচারণা শুরু। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতি ও আদর্শে  বিশ্বাসী। বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে তাকে এবং তার পরিবারকে নাজেহালের শিকার  হতে  হয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের আমলে পুরো আন্দোলনের সময় নিহত, আহত, জেল, জুলুম, মামলা, হামলায় দলের সমর্থিতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রেখেছেন। বিগত ৩৪ বছর যাবত প্রতি সপ্তাহে নিজ এলাকায় ফ্রি ও স্বল্পমুল্যে চিকিৎসা  প্রদান এবং দুস্থ মানুষের পাশে থেকে নিরবে নিভৃতে সেবা করে যাচ্ছেন। সেবা প্রদানে অনেকের চাকরির ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন নন্দিত এই নেতা।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি ডাঃ মোঃ শাহ আলম তালুকদার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার পরিচিতি এবং  রাজনৈতিক পদচারণায় আমি দাবী করতে পারি যে, আমি বিএনপির একজন  নিবেদিত কর্মী। ভৌগলিক দিক থেকে কালিহাতী উপজেলা প্রায় ২০ টিরও অধিক জেলার প্রবেশদার। দেশ ও দলের ক্রান্তিলগ্নে  শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হয়ে সেবাব্রত মন নিয়ে টাংগাইল-৪ কালিহাতি আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আমি। কালিহাতি উপজেলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি, স্পীকার, প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ,ভাষা সৈনিক, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী,সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাসস্থান। কাজেই এই আসনটি অনেক গুরুত্ব বহন করে । এই আসনে শিক্ষিত, মার্জিত,নিষ্ঠাবান, ন্যায়পরায়ণ, দূর্বৃত্তপরায়নমুক্ত ও অধিক জনসমর্থিত ব্যক্তিকে বিএনপি সার্বিক বিবেচনায় আমাকে মনোনীত করলে

আমি দলকে এ আসনটি উপহার দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

ডা. শাহ আলম তালুকদার আরও  বলেন, তারুণ্যের গর্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ তথা দলের ক্রান্তিলগ্নে সমোয়পোযোগী ও যুগান্তকারী ঘোষণা। এটা শুধু মাত্র কোন দল, ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই ঘোষণার বাস্তবায়ন হলে বহুল আকাঙ্খীত সকল জনগোষ্ঠীর চাওয়া পাওয়ার প্রতিফলন ঘটবে। জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বান্ধব সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে। ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ, নারী সমাজ, পেশাজীবি, প্রবাসী এবং সর্বোপরী আপামর জনসাধারণের চাহিদা মেটানোর সদিচ্ছা এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক ভূমিকা রাখাই ৩১ দফা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি। নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে গড়ে উঠুক একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও দূর্বৃত্তপরায়নমুক্ত বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি তাকে মনোনয়ন দিলে এই স্বৈরাচারের খাঁটি ভেঙে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এ আসনটি দলকে উপহার দিবেন এবং কালিহাতী মানুষের হয়ে বিপদে-আপদে কাজ করাসহ সবসময় পাশে থাকবেন ও উন্নয়নের মাধ্যমে কালিহাতীকে একটি আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে জানান তিনি।

বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহ আলম তালুকদার ১৯৫৯ সালের ৫ আগস্ট টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার পারখী ইউনিয়নের আমজানী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতি আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ থেকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ১৯৭৯ সালে জাসদ থেকে শাজাহান সিরাজ, ১৯৮৬ সালে সতন্ত্র লায়লা সিদ্দিকী, ১৯৮৮ সালে জাসদ থেকে শাজাহান সিরাজ, ১৯৯১ সালে জাসদ থেকে শাজাহান সিরাজ, ১৯৯৬ এর ১৫ ই ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে – শাজাহান সিরাজ- বিএনপি ১৯৯৬, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী- আওয়ামী লীগ, ২০০১ সালে শাজাহান সিরাজ- বিএনপি। ২০০৮- আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ, ২০১৮-সোহেল হাজারী, আওয়ামী লীগ। ১৯৮৬, ১৯৮৮, ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন করেনি।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) উপজেলায় মোট ২টি পৌরসভা ও ১৩ টি ইউনিয়ন রয়েছে। পৌরসভা দুটি কালিহাতি ও এলেঙ্গা। ১৩টি ইউনিয়ন হচ্ছে— দুর্গাপুর, দশকিয়া,  গোহালিয়াবাড়ি, সল্লা, নারান্দিয়া, বাংড়া, সহদেবপুর,কোকডোহরা, পাইকরা, বল্লা, নাগবাড়ি, বীর বাসিন্দা ও পারখী। সর্ব শেষ তথ্য অনুযায়ী, এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা আছে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার। অধিকাংশ এলাকায় হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বসবাস। তাদের সাথে সর্বোপরি যোগাযোগ রেখেছেন বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপা ডাঃ মোঃ শাহ আলম তালুকদার।

 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি