আগাম নির্বাচনের দাবিতে সার্বিয়ায় বিক্ষোভ দমনের চেষ্টায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) নোভি সাদ শহরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে।
প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচের ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভ করছেন সার্বিয়ার জনগণ।
গত বছরের নভেম্বরে নোভি সাদ রেলস্টেশনের ছাদ ধসে পড়ায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেন্দ্র করেই সরকারের বিরুদ্ধে চলমান অসন্তোষ নতুন মাত্রা পায়। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, দুর্নীতি ও অবহেলার কারণেই রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো প্রকল্পে এ ধরনের বিপর্যয় ঘটছে।
আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, আগাম নির্বাচন হলে প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিচ ও তার ক্ষমতাসীন সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টি (এসএনএস) ক্ষমতা হারাবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নোভি সাদের রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হন। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে লেখা ছিল— ‘আমরা অবরোধ চাই না, আমরা নির্বাচন চাই’ এবং ‘শিক্ষার্থীদের জরুরি দাবি: নির্বাচন দাও।’ এ সময় তারা প্রেসিডেন্ট ভুচিচের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানও দেন।
রাতের দিকে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভুচিচ দাবি করেন, সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। তবে কতজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন, সে তথ্য পাওয়া যায়নি। ভুচিচ বলেন,‘আমরা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের অনুমতি দেব না। সার্বিয়া একটি শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র।’
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরকারবিরোধী আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, রোববার তার সমর্থকেরা সার্বিয়ার বিভিন্ন শহরে পাল্টা সমাবেশ করবে।
শিক্ষার্থী, বিরোধী দল এবং দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনগুলো প্রেসিডেন্ট ভুচিচ ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধচক্রের সঙ্গে সম্পর্ক, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর সহিংসতা এবং গণমাধ্যম স্বাধীনতা দমনের অভিযোগ তুলেছে। যদিও ভুচিচ ও তার সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান
হামলার আগে গাজার অধিবাসীদের শহর ছাড়তে বললো ইসরায়েল
প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রাম্পের