বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। টানা ৮ ঘণ্টা ক্যাম্পাসের ৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়।
ডাকসুর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, যদি ৪টার মধ্যে কেউ এসে ভোটারদের লাইনে এসে দাঁড়ায়, তাহলে যত দেরিই হোক তার ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এরপরই বেশিরভাগ কেন্দ্রের গেট বন্ধ করতে দেখা যায়। তবে গেটের সামনে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন।
এর আগে অধিকাংশ কেন্দ্র ঘুরে শেষ সময়ে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে সিনেট ভবন কেন্দ্রটি ফাঁকা হয়ে যায়। সেখানে ভোটারদের কোনো লাইন দেখা যায়নি। কার্জন হল কেন্দ্রে শেষ দিকে তেমন ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিকেল ৪টার মধ্যেই এ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে গেছে।
ভোটগ্রহণ চলাকালে কেন্দ্রে আগে থেকে ক্রস চিহ্ন দেওয়া ব্যালট নিয়ে শিবির ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল।
এদিকে ভোটের শেষ সময়ে এসে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্টের সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী তাহমিনা আক্তার।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোটের বিপরীতে ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নামেন ১ হাজার ৩৫ জন। এবারের ডাকসু ভোটে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ১০টি প্যানেল অংশ নিয়েছে। এর বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন প্রার্থীদের আরেকটি অংশ।
এবারের নির্বাচনে রয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), সাতটি বাম ছাত্র সংগঠনের ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’, জুলাই আন্দোলনের নেত্রী উমামা ফাতেমার ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’, ছাত্রশিবির, তিন বাম সংগঠনের ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ অন্তত ১০টি প্যানেল।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
ফলাফলের অপেক্ষায় সিনেট ভবনের ভেতরে বাইরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা কমাতে বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ
টকশোর আড়ালে আ. লীগকে পুনর্বাসন ও ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন