ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. মহিউদ্দীন খান।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিনেট ভবনে ঘোষিত চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, মহিউদ্দীন পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট।
এর আগে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদেও বিপুল ব্যবধানে জয় পান একই জোটের প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পান ৫ হাজার ৬৫৮ ভোট।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক জিএস পদে বিজয়ী এস এম ফরহাদ পেয়েছেন মোট ১০৭৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী হামীম পেয়েছেন ৫২৮৩ ভোট।
তবে এরই মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন আবিদুল এবং ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা। আব্দুল কাদেরও নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচনা করে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসুর ভোটগ্রাহণ চলে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ চলে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোটের বিপরীতে ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
রাত পোহালে জাকসু নির্বাচন, ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ
রেকর্ড দামে ব্রেভিসকে কিনলেন সৌরভ
মাদককাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ, এক বছর পর মুখ খুললেন সাফা কবির