যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রক্ষণশীল রাজনৈতিক নেতা, টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সহযোগী চার্লি কার্ক ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস ইভেন্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সে সময় তিনি বক্তৃতা দিচ্ছিলেন এবং একটি গুলি তার গলায় আঘাত করে।
চার্লি কার্ক নিহতের পর সন্দেহভাজন একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এফবিআই। এক্স প্ল্যাটফর্মে এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল লিখেছেন, ‘আজকার ভয়ঙ্কর গুলিতে চার্লি কার্কের জীবনহানির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এখন হেফাজতে। ইউটাহের স্থানীয় ও রাজ্য কর্তৃপক্ষ এফবিআইকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।’
এদিকে, এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শোকার্ত এবং ক্ষুব্ধ’ বলে জানিয়েছেন। তিনি এটাকে আমেরিকার জন্য একটি অন্ধকার মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এই ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেছেন, তার প্রশাসন এই নৃশংসতা ও অন্যান্য রাজনৈতিক সহিংসতায় অংশ নিয়েছেন এমন প্রতিটি ব্যক্তিকে খুঁজে বের করবে। উগ্র বামপন্থি রাজনৈতিক সহিংসতা অনেক নিরীহ মানুষকে আঘাত করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
চার্লি কার্কের বয়স হয়েছিল ৩১ বছর। তিনি ‘দ্য আমেরিকান কমব্যাক ট্যুর’ নামের রাজনৈতিক সফরের অংশ হিসেবে তরুণদের মধ্যে রক্ষণশীল মূল্যবোধ প্রচার করছিলেন।
উটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মর্মান্তিক এই গুলিবর্ষণের ঘটনার পর ওরেমের এই ক্যাম্পাসটি আপাতত বন্ধ থাকবে। ইউভিইউ ক্যাম্পাস ১১ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সব ক্লাস (সশরীরে বা ভার্চুয়াল), ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ইভেন্ট এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দয়া করে সেভাবে পরিকল্পনা করুন এবং আপনার সময়সূচিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনুন।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
৫ কোটি টাকার সম্পদ-প্লট জালিয়াতির অভিযোগে বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে মামলা
রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে ৩ ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
জাকসু নির্বাচনে নজরুল হলে এখনো চলছে ভোটগ্রহণ