ইসরাইলের গুলি ও বোমা বর্ষণের মধ্যে গাজা শহরের হাজারও বাসিন্দা জীবন বাঁচাতে শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন। এদিকে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলি সেনাদের হামলায় একদিনেই অন্তত ৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা আরও তীব্র হচ্ছে। জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন এই যুদ্ধকে সরাসরি গণহত্যা আখ্যা দিয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছরের মধ্যে গাজা সিটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। টানা বোমা ও গুলিবর্ষণের কারণে অনেকে আশঙ্কা করছেন, হয়তো আর কখনো নিজেদের ঘরে ফিরতে পারবেন না। জাতিসংঘ মহাসচিব এ হামলাকে “ভয়ঙ্কর” বলে উল্লেখ করেছেন।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার উপকূলীয় সড়ক ধরে পালানোর সময় একদল মানুষের গাড়িতেও বিমান হামলা চালানো হয়। ওই দিন অন্তত ১৭টি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়। পূর্ব গাজার তুফফাহ এলাকায় আইবাকি মসজিদকে লক্ষ্য করেও বিমান হামলা চালানো হয়। একই সঙ্গে গাজার উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে বিস্ফোরকবোঝাই রোবট ব্যবহার করে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় সেনারা। মানবাধিকার সংগঠন ইউরোমেড মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসের শুরুতে অন্তত ১৫টি এমন রোবট মোতায়েন করা হয়, যার প্রতিটি দিয়ে প্রায় ২০টি বাড়ি ধ্বংস করা সম্ভব।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধের প্রথম ধাপ শেষে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপে ভরা গাজা সিটিতে ফিরেছিলেন। তবে বর্তমানে কতজন মানুষ সেখানে রয়ে গেছেন, তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে শহর ছেড়েছেন। অন্যদিকে, গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, সমান সংখ্যক মানুষ শহরের কেন্দ্র ও পশ্চিমাংশে আশ্রয় নিয়েছেন, আর প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার বাসিন্দা পুরোপুরি গাজা সিটি ছেড়ে গেছেন।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
লিবিয়ায় শরণার্থী বোঝাই নৌকায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬০
গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম বোমা হামলা, একদিনে নিহত ৯০
গণবিক্ষোভ আতঙ্কে পতনের আশঙ্কায় মোদি সরকার