September 17, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, September 17th, 2025, 6:05 pm

জাল সনদে ১২ বছর চাকরি, বহিষ্কার বেরোবির ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর ইরিনা

গাজী আজম হোসেন, বেরোবি প্রতিনিধি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর পদে কর্মরত কর্মকর্তা মোছাঃ ইরিনা নাহারের  স্নাতকোত্তরের সনদ জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে চাকুরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) অনুষ্ঠিত ১১৫ তম সিন্ডিকেট সভায় ইরিনা নাহারের সনদ জালিয়াতির বিষয় টি তোলা হলে সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।

আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার ড. মোঃ হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এছাড়া কীভাবে তিনি জাল সনদে চাকরি পেলেন, প্রমোশন পেলেন তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে ৭ দিনের সময় দিয়েছিল সনদের আসল কাগজপত্র জমা দিতে। কিন্তু ইরিনা নাহার জমা দিতে ব্যার্থ হলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সূত্রে জানা যায়, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর পদে যোগদানের শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক, ও দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর পাশ হতে হবে এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগ থেকে (বিপিএড) ডিগ্রীধারী হতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে স্মাতকোত্তর ডিগ্রীর উল্লেখ থাকলেও এই কর্মকর্তা স্নাতকোত্তরের ডিগ্রী ছাড়াই তৎকালীন উপচার্য প্রফেসর আব্দুল জলিল মিয়া তাকে এডহকে নিয়োগ দেন। জানা যায়, চাকুরিতে যোগদানের দীর্ঘ ৯ বছর পরে, ২০২২ সালে তিনি ব্যক্তিগত ফাইলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্নাতকোত্তর পাশের একটি সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। তবে বেসরকারী এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে আনা সেই সনদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  যাচাইকালে সেটি জাল বা ভূয়া বলে প্রমাণীত হয়। কিন্তু কোন শাস্তি বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা যায়, ১ মার্চ ২০১২ সালে ফিজিকাল ইন্সট্রাক্টর পদে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মোঃ শাহজাহান আলী মন্ডল স্বাক্ষরিত এক নিয়োগ পত্রে  বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পান এ কর্মকর্তা, ৬ মাস শেষ হবার পর এডহক ভিত্তিতে উপাচার্যের নিজস্ব ক্ষমতায় পুনরায় ৬ মাস বৃদ্ধি করা হয়।  পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২৩ মার্চ তাকে স্থায়ী পদে পদায়ন করা হয়।

এই ব্যাপারে ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর মোছাঃ ইরিনা নাহার বলেন, আমি যে সার্টিফিকেট পেয়েছি সেটাই দিয়েছি। আমি কি জানতাম এটা জাল না কি। এখানে আর কিছু বলার আছে।