September 17, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, September 17th, 2025, 6:25 pm

ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি আবারও ব্যক্ত করেছেন। খবর বাসস-এর।

আজ বুধবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে আসা একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি প্রতিনিধিদলকে জানান, নির্বাচনের সময়সূচি ইতোমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন পুনরায় শুরু হওয়ায় বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে নির্বাচনী আগ্রহ বেড়ে চলেছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন দশক পর এই নির্বাচন হয়েছে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর হবে। যদিও কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তবুও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ে ভোট আয়োজনের ব্যাপারে অটল।

তার মতে, তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সৃষ্টি করবে। কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর অনেকেই এবার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তিনি মন্তব্য করেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে, ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে—যা জাতির জন্য হবে এক নতুন যাত্রা।

প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।

ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠবে। তাদের মধ্যে একজন, প্রধান উপদেষ্টা ও তার সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এক ডাচ আইনপ্রণেতা বলেন, বাংলাদেশ অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে “ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।”

প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য অতিরিক্ত তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান। বিশেষ করে অর্থাভাবের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুলগুলো পুনরায় চালু করতে সহায়তার অনুরোধ জানান তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কারগুলো বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে সহায়ক হবে।

এনএনবাংলা/