October 10, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, September 23rd, 2025, 3:22 pm

সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরির প্রতারণা, চক্রের হোতাসহ গ্রেপ্তার ৬

 

ঢাকা ও সাভারে অভিযান চালিয়ে সেনা কর্মকর্তার পরিচয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণায় জড়িত চক্রের মূলহোতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতের বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন: সোহেল রানা ওরফে মিলন, তৈয়ব ওরফে মোস্তাক, সজীব মুন্সি, শামীম আহমেদ, মওলাদ আলী খান এবং সোহেল রানা ওরফে জিন্নাহ। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, সাতটি মোবাইল ফোন, দুটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং ৯৫ হাজার ২০০ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একজন ভুক্তভোগীও উদ্ধার করা হয়েছে, যাকে তারা সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার শিকার করেছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে র‌্যাব-৪ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪-এর সদর কোম্পানি কমান্ডার শাহাবুদ্দিন কবীর এসব তথ্য জানান।

শাহাবুদ্দিন কবীর জানান, কয়েক দিন আগে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি র‌্যাব-৪-কে অভিযোগ করেন যে, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তার ছোট ভাই ১৪ সেপ্টেম্বর সফিপুর আনসার ব্যাটালিয়ন একাডেমিতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ না হওয়ায় একটি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মোবাইলে যোগাযোগ করে জানায় যে তার ভাইয়ের কিছু শারীরিক সমস্যা আছে। পরিচয় জানতে চাইলে সেই ব্যক্তি নিজেকে মেজর সোহেল বলে পরিচয় দেন এবং পরে হোটেলে দেখা করার জন্য বলেন।

ভুক্তভোগী ঢাকার শাহ আলী থানা এলাকার একটি হোটেলে মেজর সোহেল ও তাঁর সঙ্গী তৈয়বুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। সোহেল নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর, আর তৈয়বুরকে কর্নেল পরিচয় দেন। তারা ভুক্তভোগীর ভাইকে আনসার ব্যাটালিয়নে সিপাহী পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জানান, ১২ লাখ টাকা দিলে নিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব।

ভুক্তভোগী প্রস্তাবে রাজি হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথমে চার লাখ টাকা প্রদান করেন। টাকা পাওয়ার পর সোহেল ও তৈয়বুরসহ অন্যান্য আসামিরা ভুক্তভোগীকে তার ভাইয়ের জন্য আনসার ব্যাটালিয়নে নিয়োগপত্র দেন। এরপর বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আরও এক লাখ টাকা নেয়া হয়।

নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর ভুক্তভোগী তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু বাড়ি এসে তারা বুঝতে পারেন যে নিয়োগপত্রটি ভুয়া এবং আসল নিয়োগপত্রের সঙ্গে এর অনেক গরমিল রয়েছে। এরপর খোঁজখবর নেয়া হলে নিশ্চিত হয় যে, আসামিরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

 

এনএনবাংলা/