October 10, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, September 23rd, 2025, 9:46 pm

নিউইয়র্কে বিএনপি ও এনসিপি নেতাদের ওপর হামলায় অন্তর্বর্তী সরকারের দুঃখপ্রকাশ

 

নিউইয়র্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং এনসিপির দুই নেতা আখতার হোসেন ও তাসনিম জারার ওপর হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার নিউইয়র্কে সোমবার সংঘটিত ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও লক্ষ্যভিত্তিক হামলার শিকার হন। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থক ও সহযোগীরাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত।

সরকার জানায়, এই নিন্দনীয় ঘটনা শেখ হাসিনার শাসনামলে গড়ে ওঠা বিষাক্ত ও সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির এক তিক্ত স্মারক। সরকার শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে ওই সংস্কৃতি চিরতরে নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগাম একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়। জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিনিধিদলকে প্রথমে নির্দিষ্ট ভিভিআইপি গেট দিয়ে নেওয়া হয় এবং একটি বিশেষ সুরক্ষিত পরিবহনে তোলা হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভিসাজনিত জটিলতার কারণে তাদের বিকল্প পথে যেতে হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিভিআইপি প্রবেশাধিকার ও নিরাপত্তা সুবিধা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করা হলেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তা মেনে নেয়নি। এ কারণে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঝুঁকির মুখে পড়েন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঘটনার পরপরই নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। এরই মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টা ও সরকারি প্রতিনিধিদলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এনএনবাংলা/