পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের কোয়েটা শহরে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৩২। বিস্ফোরণের সময় গোলাগুলির শব্দও শোনা গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার কোয়েটার একটি ব্যস্ততম সড়কে এই বিস্ফোরণ ঘটে। সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের দৈনিক ডন জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটে কোয়েটার ফ্রন্টিয়ার কনস্ট্যাবুলারি (এফসি) সদরদপ্তরের কাছে। আরও হতাহতের আশঙ্কায় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের কর্মস্থলে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এফসি হলো পাকিস্তানের আধা-সামরিক বাহিনী। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত যান চলাচলের সময় হঠাৎই একটি মোড়ে বিস্ফোরণ হয়। এক্সেপ্রেস ট্রিবিউন প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের ভবনের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। গণমাধ্যমটি বলছে, বোমাটি বেশ শক্তিশালী ছিল। বিস্ফোরণের সময় পাশে থাকা একটি বাসের যাত্রী ও পথচারীরা হতাহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টে আসিফ আলী জারদারি নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনার জন্য ‘ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন। তাঁর দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আত্মঘাতী বোমা হামলাটি চালিয়েছে ‘ফিতনা-আল-খাওয়ারিজ’। গোষ্ঠীটি ভারতীয় মতাদর্শে পরিচালিত হয়।
ডন বলছে, ফিতনা-আল-খাওয়ারিজ দ্বারা নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) বোঝানো হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষুন্ন করতে পারবে না।
তবে এ অভিযোগে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। এ হামলার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
সাইবার হামলার আশঙ্কায় দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি
জুলাই সনদ স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা
জুলাই-সেপ্টেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪.৭৯ শতাংশ