October 10, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, September 30th, 2025, 6:03 pm

আইপ্যাড-পাসপোর্ট না পেয়ে আদালতে অঝোরে কাঁদলেন মেঘনা আলম

 

রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় জব্দ করা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় ফেরত চেয়ে আবেদন করেছিলেন মডেল মেঘনা আলম। তবে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করলে তিনি অঝোরে কেঁদে ফেলেন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে হাজির হন মেঘনা আলম। এ সময় তার আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ ও মহিমা ইসলাম বাঁধন জব্দ করা জিনিসপত্র ফেরতের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন খারিজ করেন।

শুনানি শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেঘনা। তিনি বলেন, “তারা (রাষ্ট্রপক্ষ) একটার পর একটা মিথ্যা বলে আমাকে সবার সামনে অপমান করছে। আদালতে যদি মিথ্যা কথা বলা হয়, তবে আমরা কীভাবে ন্যায় বিচার পাব?”—এ কথা বলতে বলতেই তিনি অঝোরে কাঁদতে থাকেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মহসিন রেজা জানান, তদন্ত কর্মকর্তা সময়ের আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, “ফরেনসিক রিপোর্ট এখনো জমা হয়নি বলে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। অথচ একটি ফরেনসিক করতে দুই মাসের বেশি সময় লাগে না। এটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করা হচ্ছে, যাতে বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘ হয়।”

তিনি আরও বলেন, গত ৩১ আগস্ট আদালত মেঘনাকে পাসওয়ার্ড দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা এখনো সেই পাসওয়ার্ড পাননি। ফলে ফরেনসিক শেষ হয়নি। তাই মোবাইল ও ল্যাপটপে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কিনা, তা জানা সম্ভব হয়নি। “এর মধ্যে যদি পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়, তবে তিনি বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন”—রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে এমন যুক্তি দিয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হারুনুর রশিদ জানান, গ্রেপ্তারের সময় মেঘনার কাছ থেকে দুটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। ২৯ জুলাই তিনি এগুলো ফেরতের আবেদন করেন। আদালত তখন নির্দেশ দেন, বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা এবং এসব যন্ত্রে রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান রয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা ২৬ আগস্ট পাসওয়ার্ডের আবেদন করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে তার বাসা থেকে আটক করা হয়। পরদিন বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ড শেষে ২৭ এপ্রিল তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ২৮ এপ্রিল ডিটেনশন আদেশ বাতিল হলে তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর থেকে তিনি জামিনে আছেন।

চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ কয়েকজন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের সদস্য। তারা সুন্দরী তরুণীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করে, এরপর গোপনীয়তা ফাঁসের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করত। এ বিষয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনার সম্পর্কের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।

এনএনবাংলা/