যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ব্যয় বিল পাস না হওয়ায় দেশটির ফেডারেল সরকারের কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ (শাটডাউন) হয়ে গেছে। এতে বেশ কয়েকটি দপ্তরের সেবা কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে এবং লাখো সরকারি কর্মচারীকে অবৈতনিক ছুটিতে যেতে হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এটি কতদিন স্থায়ী হবে তা নিশ্চিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮ সালের শেষদিকে শুরু হওয়া শাটডাউন ৩৫ দিন ধরে চলেছিল, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম।
প্রতি বছর ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অর্থবছর শুরু হয়। এর আগেই কংগ্রেসকে ফেডারেল সংস্থা ও দপ্তরগুলোর ব্যয় অনুমোদন দিতে হয়। বিল পাস না হলে অনেক সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে জাতীয় নিরাপত্তা, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনরক্ষাকারী সেবা অব্যাহত থাকে।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ব্যয় বিল পাস না হওয়ায় শাটডাউন চলাকালে বহু দপ্তরের কর্মীরা বেতন পাবেন না। পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে ব্যাপক ছাঁটাইয়েরও ঝুঁকি রয়েছে।
এবারের অচলাবস্থার মূল কারণ হলো স্বাস্থ্যসেবা খাতে অতিরিক্ত ভর্তুকি নিয়ে মতবিরোধ। ডেমোক্র্যাটরা এই খাতে বরাদ্দ বাড়াতে চাইলেও রিপাবলিকানরা তা প্রত্যাখ্যান করে। সিনেটে বিল পাসের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬০ ভোট, কিন্তু রিপাবলিকানরা পান মাত্র ৫৫টি।
এএফপি বলছে, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন ডেমোক্র্যাট-সমর্থিত কর্মীরা। কারণ, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই সতর্ক করেছিলেন—বিল পাস না হলে দপ্তরগুলো থেকে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনকারী কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এমন কিছু করতে পারি যা ডেমোক্র্যাটদের জন্য মোটেও ভালো হবে না। তাদের প্রিয় কর্মসূচি বাতিল হতে পারে, আবার কিছু পদও বাদ দেওয়া হতে পারে। শাটডাউন সরকারের জন্য নেতিবাচক হলেও এর ভেতর কিছু ইতিবাচক দিকও থাকতে পারে।’
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনাসদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার চান নাহিদ
জুলাই সনদ স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা
দেশি-বিদেশি চক্রান্ত রুখে সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান তারেক রহমানের