কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সরকারী সেবা কার্যক্রম পুরনো ও অপ্রতুল ৮০দশকে নির্মিত ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলা প্রস্তাবিত “নতুন উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন” অনিশ্চয়তার মেঘের নিচে ঢাকা ছিল। প্রশাসনের কাজ-কর্ম,পরিষেবা ও জনগণের সেবা সম্প্রসারণে বর্তমানে উপজেলা ভবন যথেষ্ট সক্ষম নয় বলে মনে করেন সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা।
সূত্রটি জানায়, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় হতে ২০১৯ সালের জুন মাসে ৪৬.০২.৩৩৩৪.৯৯.০০৪.১৯.৬৯৯ নং স্মারকে উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্প পরিচালক বরাবরে টপোগ্রাফিকেল সার্ভে ও মাষ্টার প্ল্যান পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল। ছয়টি বছর অতিক্রান্ত হলেও আলোর মুখ দেখেনি সেই টপোগ্রাফিকেল সার্ভে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর একাধিক পুরাতন ভবনে কাজ করছে। দপ্তরগুলো আলাদা ভবনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকা ও অব্যবস্থাপনায় ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। জরুরী বৈঠক, সভা ও জনসম্মুখ অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত আয়তনের সম্মেলন কক্ষ নেই। দাপ্তরিক সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার তেমন প্রসার ঘটেনি। ফলে প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা ব্যহত হচ্ছে। যা কি না তথ্যপ্রযুক্তির যুগে, প্রযুক্তিগত অবকাঠামো, কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক সংযোগ, বৈদ্যুতিক ও পানির সুবিধাসহ অনেক কিছুই অপর্যাপ্ত রয়েছে।
সমাজসেবা ও মৎস অফিসে সাধারণ সেবা প্রত্যাশীরা এসে বারান্দায় দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাদের জন্য নেই কোন বসার স্থান। সমবায়, কৃষি সম্প্রসারণ ও প্রাথমিক শিক্ষাসহ বিভিন অফিসেও সেবা প্রত্যাশীদের একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে একটি আধুনিক উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের দাবী জানিয়ে আসছেন।
প্রায় ২১৭.৫১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৩লক্ষ ১০ হাজার ৯৪৩ জন। স্থানীয়দের মতে দ্রæত একটি নতুন ভবন নির্মাণ করলে জনসেবা সহজতর হবে এবং কর্মকর্তাদের কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। ৩১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২১ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ৮তলা ভবনের ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা পরিষদের ন্যাস্তকৃত কার্যালয়গুলো এভবনে স্থান পাবে। নতুন ভবনে পর্যাপ্ত অফিস কক্ষ, সভাকক্ষ ও সেবাকেন্দ্র্র থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.টি.এম কামরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানায়, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ এব্যাপারে একাধিক সভা করেছে। কমপ্লেক্স ভবনের মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। তারপরেও ভবিষ্যৎ বিবেচনায় চুড়ান্ত ভাবে স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের ভবনের স্থান পরিদর্শনের ব্যাপারে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক মো. মোনায়েম সরকার মুঠোফোনে নয়া দিগন্তকে বলেন, উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনটি অত্যাধুনিক নতুন ডিজাইনের দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষনীয় লিফটসহ ভবনটি ৮তলা বিশিষ্ট হবে। ভবনটির অনুমোদন হবে নভেম্বর মাসে এবং আগামী ডিসেম্বর মাসে টেন্ডারে যাবে।
আরও পড়ুন
শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
কুলাউড়ায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন
কুড়িগ্রামে বিএনপির ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ