December 31, 2025
Tuesday, October 7th, 2025, 6:15 pm

উৎকোচ দিয়েও শেষ রক্ষা হলোনা ৭ জেলের, কয়রা বনকর্তার বিরুদ্ধে জেলে-বাওয়ালীদের সংবাদ সম্মেলন

filter: 0; jpegRotation: 0; fileterIntensity: 0.000000; filterMask: 0; module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Night; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 42.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

কয়রা (খুলনা),প্রতিনিধি:

সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ শিকার নিষিদ্ধ। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওইসব এলাকায় অবাধে চলে মাছ শিকার। এমনকি বেশি মাছ পেতে নদীতে ছিটানো হয় বিষ। এসবের পেছনে কাজ করে শক্তিশালী একটি চক্র। ঘুষ নিয়ে তারা অভয়ারণ্যে মাছ ধরার সুযোগ করে দেয়।অসাধু বন কর্মকর্তার চুক্তির মাধ্যমে জেলেদের কাছে অঘোষিত ইজারা দেয় বনের নিষিদ্ধ ও অভয়ারণ্য নদী-খাল।

সুন্দরবনের সংরক্ষিত এসব অভয়ারণ্যে অবৈধভাবে মাছ ধরার সুযোগ দিতে জেলেদের কাছ থেকে নিয়মিত ঘুষ গ্রহণ এবং পরে সেই জেলেদেরই মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের ভ্রমরখালী বন  টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে।

অগ্রিম টাকা পরিশোধ করার পরও প্রতারণা করে সাতজন গরিব জেলেকে আটক করে বন আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জেলেরা।

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলেদের পক্ষে মো: রজব আলী (৩২) এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রজব আলী দাবি করেন, ওসি আব্দুল হাকিম দীর্ঘদিন ধরে ১০টি জেলে নৌকাকে ভ্রমরখালী অভয়ারণ্যে প্রবেশের সুযোগ দিতেন। বিনিময়ে প্রতি দশ দিনে (এক গোনে) নৌকা প্রতি ১০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা অগ্রিম নিতেন। তিনি জানান, ওসি এই ঘুষের টাকার একটি অংশ ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের’ দিতে হয় বলে দাবি করতেন।

তবে সম্প্রতি ওসি আব্দুল হাকিম অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে অন্য দালালচক্রের জেলেদের সুযোগ দিতে শুরু করেন এবং তাঁর দলের জেলেদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেন। রজব আলীর অভিযোগ, এর আগে টাকা লেনদেনের প্রমাণ হিসেবে মহাজনের কাছে থাকা হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট থাকলেও, ওসি প্রতারণার পর সেই কথোপকথন মুছে ফেলার চেষ্টা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, অগ্রিম টাকা পরিশোধ থাকা সত্ত্বেও গত ২ অক্টোবর ওসি আব্দুল হাকিম তাঁদের দলের সাতজন জেলেকে আটক করে আরও টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় দুই দিন আটকে রেখে গত ৫ অক্টোবর তাঁদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

রজব আলী আরও অভিযোগ করেন, আটক জেলেদের নৌকায় পাঁচশ কেজির বেশি মাছ ছিল, কিন্তু ওসি হাকিম আদালতে মাত্র ৫০ কেজি দেখিয়ে বাকি মাছ আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ওসি আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত ও কারাগারে পাঠানো গরিব জেলেদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।

এব্যাপারে ভ্রমরখালী  বন টহল ফাঁড়ির (ভারপ্রাপ্ত)  কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাকিমের  কাছে জানার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।