October 9, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, October 8th, 2025, 6:36 pm

সিসিকে অ্যাডভোকেসি সভা  টাইফয়েড থেকে বাঁচাতে  শিশুদের টিকা দিতে হবে : রেজাই রাফিন সরকার

সিলেট অফিস:
সিলেট সিটি কর্পোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেছেন, টাইফয়েডের কারণে অনেকের অঙ্গহানি হয়। এমনটি মৃত্যুও হতে পারে। তাই সরকার এই রোগ থেকে বাঁচাতে শিশুদের বিনামূল্যে টিকাদানের উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়নে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রতিটি শিশুকে টিকা দিতে হবে।
টাইফয়েডের টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে বুধবার (০৮/১০/২০২৫) নগর ভবনে ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারা দেশের মতো সিলেট মহানগরীতেও টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। ইউনিসেফ ও ওয়ার্ল্ড হেল্থ প্রোগ্রামের আওতায় মাসব্যাপী এই টিকাদান কর্মসূচিতে মহানগরীর ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেক নবম শ্রেণি/সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে।
রেজাই রাফিন সরকার বলেন, আমরা প্রতিটি শিশুকে নিরাপদে রাখতে চাই। তাই সিলেট নগরীর ১ লাখ ৬২ হাজার শিশুকে টাইফয়েডের টিকাদান করা হবে। এই উদ্যোগ সফলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিক্ষকবৃন্দ সহযোগিতা করলে সকল শিশু এই টিকা পাবে। এক ডোজ টিকাদানের মাধ্যমে যদি শিশুদের টাইফয়েডের মতো মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচানো যায় তাহলে এর থেকে ভালো আর কিছু হয় না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. সৈয়দ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা শিক্ষার্থীদের টিকাদান করবেন। সিসিকের স্থায়ী-অস্থায়ী ইপিআই টিকা কেন্দ্রেও টিকা প্রদান করা হবে। ১২ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত পুরো এক মাস এসব কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে। ছিন্নমূল ও পথশিশু যাদের জন্মনিবন্ধন নেই, তাদেরও টিকা প্রদান করা হবে। নিবন্ধিতরা যখন প্রয়োজন তখনই অনলাইন থেকে ভ্যাকসিন সনদ ডাউনলোড করতে পারবেন।
সভায় আরো বক্তব্য দেন, উপপরিচালক (ইপিআই) ডা. মো. শাহরিয়ার, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশিক নূর, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইপিআই স্পেশালিস্ট ডা. নভোজ্যোতি দাশ প্রমুখ।