সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার কোনোভাবেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি।’
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
সংস্থাটি দাবি করে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের ঘোষণামতে, মঙ্গলবার থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়, যা আগে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৭ টাকা, আগে ছিল ১৬৯ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪৫ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৯২০ টাকা। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১৬৩ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০ টাকা।
গত মাসের শেষ দিকে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। বৈঠকে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির যুক্তি দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক টাকা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়। তবে পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই বাজারে তেলের দাম বাড়ানো হয়।
এর আগে সর্বশেষ গত এপ্রিল মাসে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা, খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১২ টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৭০ টাকা বাড়ানো হয়। তবে গত আগস্টে খোলা পাম তেলের দাম লিটারে ১৯ টাকা কমানো হয়েছিল।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৫৮
পায়ের নূপুর দেখে মেয়ের লাশ শনাক্ত করলেন পরিবার
নাশকতার মামলায় সাবেক এমপি কবিরুলের জামিন নামঞ্জুর