টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইল শহরে ফিটনেসবিহীন ব্যাটারি ও মোটরচালিত রিকশার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। প্যাডেলচালিত রিকশা এখন প্রায় অদৃশ্য। এসব রিকশা স্বাভাবিক রিকশার চেয়ে দ্রুতগতির হলেও ব্রেক সিস্টেম, লুকিং গ্লাস কিংবা সিগনাল লাইট নেই। অদক্ষ চালকদের কারণে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
চালকেরা যেখানে-সেখানে টার্ন নেয়ায় পেছনের যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। হালকা গঠনের কারণে মাঝে মাঝেই রিকশার চাকার এক্সেল বা ফরক ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। পৌরসভার তথ্য মতে, বিগত সরকারের সময় প্রায় ৬ হাজার রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয়, যা মূলত প্যাডেলচালিত রিকশার জন্য হলেও ব্যবহার হচ্ছে ব্যাটারি চালিত রিকশায়। একেকজন মালিক একই নামে একাধিক লাইসেন্স কিনে সেগুলো ভাড়ায় দিচ্ছেন চালকদের কাছে।
চালকদের লাইসেন্স পেতে কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন নেই, মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিলেই লাইসেন্স পেয়ে যায়। এই অদক্ষতা সরাসরি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
২০২০ সালে জেলা প্রশাসন কারখানা বন্ধ করলেও তা আবার চালু হয়ে যায়। বর্তমানে এসব কারখানায় নিয়মিত নতুন রিকশা তৈরি হচ্ছে।
রিকশা ও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক এই পেশায় জড়িত। গ্যারেজ থেকে প্রতিদিন রিকশা ভাড়ায় নেয় চালকেরা, যার প্রতিটির ভাড়া ৪০০-৪৫০ টাকা। সাধারণ প্যাডেল রিকশায় স্টিল বডি ও ব্যাটারি লাগিয়ে দ্রুতগামী রিকশায় রূপান্তর করা হয়।
একজন যাত্রী অভিযোগ করেন, রিকশা চালকদের পরিচয় নিশ্চিত করার ব্যবস্থা না থাকায় ছিনতাইয়ের মতো অপরাধও বাড়ছে। তার মতে, চালকদের আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা উচিত।
টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক মো. শিহাব রায়হান জানান, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের অনেক আগেই এসব লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে। নতুন কোনো লাইসেন্স এখন আর দেয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন
বিকেএসপি’তে আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শুভ উদ্বোধন
অসহায় তিন নারীর মুখে ফুটল আশার হাসি — প্রতিশ্রুতি রাখলেন কায়কোবাদ
নাটোরে কাদিরাবাদ সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ-২০২৫ অনুষ্ঠিত