চট্টগ্রাম বন্দরে সেবার মাশুল বাড়ানোর প্রতিবাদে আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। এ সময় বন্দর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ ছিল।
এর পাশাপাশি বন্দরে প্রবেশ ফি চারগুণ বাড়ানোর প্রতিবাদে টানা পাঁচদিন ধরে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে প্রাইম মুভার ও লরি মালিক সমিতি। বন্দর কর্তৃপক্ষ গতকাল শনিবার এক বৈঠকে ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও লিখিত আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
এতে বন্দরের কার্যক্রমে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বন্দর ও ডিপোতে পণ্যের জট বাড়ছে, ডেলিভারি কমে গেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
গতকাল নগরীর নেভি কনভেনশন হলে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভা থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সপ্তাহব্যাপী প্রতীকী কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক আমীর হুমায়ূন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে মাশুল স্থগিতের সিদ্ধান্ত না এলে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম জানান, মাশুল বাড়ানোর প্রতিবাদে প্রতিদিনই চার ঘণ্টার কর্মবিরতি চলবে। তিনি বলেন, ‘কর্মসূচির কারণে দিনের প্রথম ভাগে পণ্য খালাস ব্যাহত হলেও পরবর্তী সময়ে কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।’
অন্যদিকে, গাড়ি মালিকদের সংগঠনগুলোও বন্দর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে। এতে কনটেইনার ও পণ্য পরিবহন কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
ব্যবসায়ীদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুলের গেজেট প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। ১৫ অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হয়েছে। আগের তুলনায় গড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই এই মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শনিবারের প্রতিবাদ সভায় প্রায় দুই হাজার ব্যবসায়ী বর্ধিত মাশুল বাতিলের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘প্রাইম মুভারের ফি কমানোর সিদ্ধান্ত আজকের মিটিংয়ে হয়েছে। তবে লিখিত আদেশ জারি করতে কিছু প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, তাই সময় লাগছে।’
প্রাইম মুভার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, লিখিত আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাদের ধর্মঘট কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এনএনবাংলা/
আরও পড়ুন
‘জামায়াতের পিআর আন্দোলন একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা’
শিক্ষকদের দাবি না মানলে ফ্যাসিস্টের চেয়েও খারাপ পরিণতি হবে: সাদিক কায়েম
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে: বিজিএমইএ