টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ মিজানুর রহমান তার নেতৃত্বে জেলা পুলিশের অপরাধ দমন কার্যক্রমে সফলতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২০২৫ সালের ৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তিনি ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে পুলিশের মনোবল ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থ সংকটের মধ্যেও টাঙ্গাইলের ১২টি থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত ও নিরলস কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মাদক বিরোধী অভিযান, ডাকাতি দমন ও সন্ত্রাস নির্মূলে বিশেষ টিম গঠন ও কার্যক্রম পরিচালনা করে এসপি মিজানুর রহমান টাঙ্গাইলবাসীর আস্থা অর্জন করেছেন।
আন্তজেলা ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে ১১২ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়, যার মধ্যে ২৯ জন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, যেখানে বিশেষ করে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের বিরুদ্ধে অপরাধ রুখে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “আমার নেতৃত্বে কেউ থানায় সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন না, আর পুলিশ সেবার জন্য কোন ধরনের অর্থ দাবি করছে না। আমরা জিরো টলারেন্স নীতি মেনে মাদক, ডাকাতি ও অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করছি।”
তিনি আরও জানান, পুলিশের কাজের প্রতিটি ধাপে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেয়া হয় এবং সমন্বিত প্রচেষ্টায় টাঙ্গাইলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, “ফ্যাসিস্টদের পুনরুজ্জীবন রুখতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে টাঙ্গাইল পুলিশ সহ সকল জেলা পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী দেশের নিরাপত্তায় নিবেদিতপ্রাণ।”
টাঙ্গাইলবাসী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাহসিকতাকে আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। তিনি টাঙ্গাইলকে অপরাধমুক্ত রাখতে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রয়েছেন।
আরও পড়ুন
নোয়াখালী বিভাগের দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
কালীগঞ্জে কেঁচো সার প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতি, কৃষি কর্মকর্তা অভিযুক্ত
টাঙ্গাইলে ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিনি শিশুপার্কের যাত্রা শুরু