October 27, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, October 26th, 2025, 5:36 pm

মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

 

১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় জামিনে থাকা আসামি ও ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জানান, মামলায় সম্রাটের ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানিতে বলা হয়, জামিনে থাকা অবস্থায় সম্রাট বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছেন এবং দেশবিরোধী কাজ করছেন। এছাড়া, তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে চলে গেছেন। এ কারণেই আদালত তার ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আদেশ বাতিল করে জামিনও বাতিল করেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এই মামলার অপর আসামি এনামুল হক আরমানও জামিনে থেকে একাধিকবার আদালতে উপস্থিত হননি। এজন্য তার জামিনও বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এর আগে, ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামিদের হাজিরার জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের পক্ষে তার আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন ২০৫ ধারায় হাজিরা দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন এই হাজিরা বাতিলের আবেদন করেন। শুনানির সময় বিচারক আসামিপক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, সম্রাট কোথায় আছে। জবাবে আইনজীবী জানান, তার অবস্থান জানা নেই। এরপর বিচারক রোববার আসামির উপস্থিতিতে পুনরায় শুনানি নির্ধারণ করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিআইডির উপ-পরিদর্শক রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, সম্রাট কাকরাইলের ‘মেসার্স হিস মুভিজ’ নামের প্রতিষ্ঠানে বসে মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অবৈধ কর্মকাণ্ড’ পরিচালনা করতেন।

মামলার বরাতে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত সম্রাট বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন। এই অর্থের উৎস গোপন করার জন্য তিনি সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচার করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, পাচারের অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৯৫ কোটি টাকা।

সম্রাট ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩৫ বার সিঙ্গাপুর, তিনবার মালয়েশিয়া, দুবার দুবাই এবং একবার হংকং সফর করেছেন। আর তার সহযোগী এনামুল হক আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সময়ে ২৩ বার সিঙ্গাপুরে যান।

এনএনবাংলা/