সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী):
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর বাটরা আল মাদ্রাসাতুল ইসলামীয়া মাখযানুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ নাজিম উদ্দিন হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খুনি আবু সাইদ সহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে চাষিরহাট নতুন বাজারে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর ও চাষিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মোল্লা, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোঃ জসিম উদ্দিন, নিহত নাজিম উদ্দিনের পিতা উবায়েদ উল্ল্যাহ, চাষিরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল বাশার, চাষিরহাট ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মকবুল হোসেন, যুব বিভাগের সভাপতি ইমাম হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুর মোহাম্মদ সাদ্দাম সহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার জনসাধারণ।
এতে সংহতি প্রকাশ করেন চাষিরহাট বন্ধুমহল সংঘ, পোরকরা স্বপ্নময় কল্যাণ সংঘ, পোরকরা কচুয়াকান্দি সমাজ কল্যাণ সংঘের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তব্যে নিহত হাফেজ নাজিম উদ্দিনের পিতা উবায়েদ উল্ল্যাহ বলেন আমার ছেলেকে হাফেজ বানানোর জন্য হেফজ মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছি, সে হাফেজ হলে তার পিছনে নামাজ পড়বো, আমরা মারা গেলে সে আমাদের জানাযার নামাজ পড়াবে ও কবর দিবে। আজ সে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরবে এটি কখনো কল্পনাও করিনি। এখন তার লাশ কাঁধে করে আমাকে কবর দিতে হয়েছে। সন্তানের লাশ কাঁধে বহন করার কষ্ট যাদের সন্তান মারা গেছে তারা ছাড়া এ কষ্ট কেউ বুঝবেনা। আমি সরকারের কাছে আমার ছেলে হত্যার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হেফজ মাদ্রাসার ছাত্র আসামী ছায়েদ একটি ধারালো ছুরি নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তার সহপাঠী নাজিম উদ্দিনের গলা কেটে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা নাছরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত আবু ছায়েদকে থানা পুলিশ আটক করে কোর্টে প্রেরণ করে। নিহত নাজিম উদ্দিনের ময়নাতদন্ত শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন
রংপুরে দুই শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় মামলায় র্যাব ১৩ এর অভিযানে প্রধান আসামি গ্রেফতার
সাপাহারে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন
নাসিরনগর জাতীয় সমবায় দিবস পালিত