বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, আমরা আপনাদের চালাকি বুঝি। সেই চালাকির ভিত্তিতেই দাবি আদায়ের পথও আমরা খুঁজে নেব। আমরা এখনো নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে আছি, কিন্তু সোজা আঙুলে যদি ঘি না ওঠে—তাহলে আঙুল বাঁকা করব। তবে ঘি আমাদের লাগবেই। সুতরাং যা বোঝাতে চাই, বুঝে নিন। নো হাংকি পাংকি। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে পল্টন মোড়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর নেতাদের উপস্থিতিতে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, আমরা ভেবেছিলাম জুলাই-আগস্টের রক্তই হবে শেষ রক্তদান, সেই শাহাদাতই হবে শেষ শাহাদাত। জুলাই বিপ্লবের পর আর রাজপথে নামতে হবে না—এমনটাই আশা করেছিলাম। কিন্তু আমরা আশাহত হয়েছি। অল্প সময়ের ব্যবধানেই আবারও রাজপথে নামতে হয়েছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা রাজপথে এসেছি—প্রয়োজনে রক্ত দেব, জীবন দেব, কিন্তু জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হতে দেব না। ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজয় হবেই। জুলাই সনদ সংবিধানে আইনি ভিত্তি পাবে, ইনশাআল্লাহ।
সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে তাহের বলেন, আপনারা চালাকি শুরু করেছেন। একে বলবেন, ওকে বলবেন—এইভাবে ফেব্রুয়ারির দিকে জাতীয় নির্বাচনের সময় টেনে নিচ্ছেন। কিন্তু আমরা সব বুঝি। আপনারা যত চালাকি করবেন, দাবি আদায়ের পথও তত দ্রুত আবিষ্কার করব।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, সময়ক্ষেপণ! এই চালাকি আপনাদের বিপদে ফেলবে। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে। তফসিল ঘোষণার পরও গণভোটে কোনো বাধা নেই। সুতরাং সময় এখনো আছে—১৫ দিন সময়ক্ষেপণ করলেও গণভোটের সুযোগ থাকবে। তাই বলছি—যা বোঝাতে চাই, বুঝে নিন। নো হাংকি পাংকি।
সরকারের ব্যয়ের অজুহাতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বলেন, গণভোটে অনেক টাকা লাগে! একদিনে যত চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়েই একটি গণভোট করা সম্ভব। প্রতিদিন একটি করে গণভোট করলেও সমস্যা হবে না। তাই বলি—চাঁদাবাজি বন্ধ করুন, তাহলে টাকার অভাব হবে না।
তাহের আরও বলেন, আমরা শান্তি চাই, সমাধান চাই, জাতীয় নির্বাচন চাই, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চাই। যদি বুঝতে কষ্ট হয়, আসুন আলোচনা করি। সরকারও তো আলোচনার কথা বলেছে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আলোচনার চাপটা সরকারকেই নিতে হবে। রেফারির ভূমিকা সরকারকেই পালন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে দুই সদস্যের আলোচনাকমিটি গঠন করেছে—আপনারাও করুন। সময়ক্ষেপণের নীতি বাদ দিয়ে আলোচনার নীতি নিন।
শেষে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তাহের বলেন, “আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়ার পরও যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে ১১ নভেম্বর ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি হবে। সেদিন ঢাকা হবে জনতার নগরী—দাবি আদায়ের দিন। লড়াই হবে, লড়াই করেই বাঁচব।
এ সময় মঞ্চে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
পিআর হলে কোনো সরকার গঠন নাও হতে পারে: খন্দকার মোশাররফ
পাকিস্তান থেকে আনা ৩২ টন ‘পাখির খাদ্যে’ ২৫ টনই নিষিদ্ধ পপি বীজ
ডেঙ্গু আজও প্রাণ নিল ৫ জনের, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪