যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ফেডারেল শাটডাউনের প্রভাবে দেশের একাধিক বিমানবন্দরে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। শুক্রবার (স্থানীয় সময়) উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী কর্মীদের অনুপস্থিতির কারণে এ অচলাবস্থা দেখা দেয়।
দেশটির পরিবহন মন্ত্রী শন ডাফি জানিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০টি বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে, যা শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ার জানায়, শুধু শুক্রবারই ৮০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফ্লাইট বিশ্লেষণ সংস্থা সিরিয়াম জানিয়েছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের মোট নির্ধারিত ফ্লাইটের প্রায় তিন শতাংশ।
প্রভাব পড়েছে দেশের বড় বড় বিমানবন্দরে—নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো, আটলান্টা, ডেনভার ও হিউস্টন–এ। এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে আমেরিকান এয়ারলাইনস প্রতিদিন গড়ে ২২০টি ফ্লাইট, ডেল্টা এয়ারলাইনস প্রায় ১৭০টি ফ্লাইট, এবং সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস প্রায় ১০০টি ফ্লাইট বাতিল করছে বলে জানিয়েছে।

এর আগে, ২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে টানা ৩৫ দিনের শাটডাউনে বিমান চলাচলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের পরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।
শাটডাউনের কারণে বর্তমানে প্রায় ১৪ লাখ ফেডারেল কর্মচারী বেতনহীন বা বাধ্যতামূলক ছুটিতে আছেন। এতে শুধু বিমানবন্দর নয়, জাতীয় উদ্যান ও সরকারি দপ্তরগুলোর কাজও স্থবির হয়ে পড়েছে।
শন ডাফি বলেন, “এটা কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়; বরং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারও যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ৮০০টির বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয় এবং ২০০টি বাতিল হয়, যার ফলে নিরাপত্তা চেকপয়েন্টে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী বিচারপতি সোমা সাইদ
ঢাকায় আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘিরে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩১ নেতাকর্মী গ্রেফতার
১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে নির্বাচন করা কঠিন: আসিফ মাহমুদ