সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন পে–কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত আগামী সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আইএমএফের সঙ্গে আমার চূড়ান্ত আলোচনা হবে ১৫ তারিখে। ইতোমধ্যে জুম মিটিংয়ে তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক দিক নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। তারা বলেছে, যা যা প্রয়োজন, সরকার তার বেশিরভাগই করছে।”
নির্বাচনের আগে সংস্কার কার্যক্রম শেষ হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “আগের কাজগুলো আমরা কনসলিডেট করছি। সংস্কার শেষ করে ফেলা সম্ভব নয়, কারণ এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা বিষয়গুলো প্যাকেজ আকারে সাজিয়ে পরবর্তী সরকারের কাছে তুলে দেব। বড় সংস্কারগুলো পরবর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে।”
তিনি আরও জানান, কর ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য স্বাধীন অর্থনীতিবিদদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি শিগগিরই প্রস্তাবনা দেবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন ব্যাংকিং সেক্টর। এখানেও কাজ শুরু হয়েছে। বাকি কাজগুলো ধীরে ধীরে সম্পন্ন করা হবে এবং এগুলোও পরবর্তী সরকারের জন্য রেখে দেওয়া হবে।”
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে, বিশেষ করে চালের দাম এখন মোটামুটি স্থিতিশীল। তবে যাতায়াত ব্যয় ও বাড়িভাড়া কিছুটা বেড়েছে।”
তিনি জানান, বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইউরিয়া ও টিএসপি সার আমদানির পাশাপাশি সিদ্ধ চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে খাদ্যপণ্যের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে সরকার, যা বর্তমানে সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। প্রতি কেজি ধান ৩৪ টাকা, আতপ চাল ৪৯ টাকা এবং সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা দরে কেনা হবে। এ বছর সরকারের লক্ষ্যমাত্রা— ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ও আতপ চাল, এবং ৬ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা।
এনএনবাংলা/

আরও পড়ুন
হাসিনাসহ রেহানা পরিবারের তিন মামলায় আরও ২২ জনের সাক্ষ্য
কোনো কবরস্থানে আমার ভাইয়ের লাশ দাফন করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ: মীর স্নিগ্ধ
নন-এমপিও শিক্ষকদের মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড