November 15, 2025

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, November 14th, 2025, 9:27 pm

ছাত্রের ‘যৌন নিপীড়নের’ মামলায় ঢাবির রসায়ন বিভাগের শিক্ষক কারাগারে

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নাকচ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রফিকুল ইসলাম।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ।

পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মেহেদী হাসান মিলন। অন্যদিকে তার আইনজীবী শ্যামল কুমার রায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

জামিন আবেদনে ড. এরশাদের আইনজীবী দাবি করেন, ‘এই মামলার ঘটনায় তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। তাকে হয়রানি করতে ভিত্তিহীনভাবে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা ঘটলে মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরশাদ হালিম শিক্ষাজীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। বর্তমানে রসায়ন বিভাগের ল্যাবরেটরির দায়িত্বে আছেন। অফিসিয়াল রাজনীতির কারণে তিনি লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।’

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, রসায়ন বিভাগের ওই ছাত্র ২৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষাসংক্রান্ত একটি সমস্যার বিষয়ে অধ্যাপক এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সমস্যা সমাধানের কথা বলে তাকে শেওড়াপাড়ার বাসায় যেতে বলেন শিক্ষক। সেখানে গিয়ে তিনি যৌন হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, পরদিন শিক্ষক তাকে ফোনে জানান যে প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনা করে পরীক্ষার বিকেলের সেশনে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেবেন। একই দিনে আবার তাকে বাসায় ডাকেন বলে দাবি করা হয়েছে। ছাত্রটি অভিযোগ করেন, অধ্যাপকের ‘সমকামী আচরণ’ সন্দেহে তিনি ওই দিন আর বাসায় যাননি এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যান।

ছাত্রটি আরও দাবি করেন, তিনি গ্রামে চলে যাওয়ায় অধ্যাপক এরশাদ ফোন করে তাকে গালাগালি করেন। ১০ অক্টোবর ঢাকায় ফেরার পর আবার বাসায় আসার জন্য চাপ দেন শিক্ষক। পরীক্ষার জটিলতার কথা বাবার অসুস্থতার কারণে জানাতে না চাওয়ায় ১৪ অক্টোবর রাতে তিনি বাধ্য হয়ে শেওড়াপাড়ার বাসায় যান। সেই রাতে তাকে মারধর ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করেন ছাত্রটি।

ঘটনার প্রায় এক মাস পর শুক্রবার ছাত্রটি শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন, যার ভিত্তিতেই অধ্যাপককে গ্রেপ্তার ও পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এনএনবাংলা/